জেতার ধরণে বেশি তৃপ্তি নিগারের
কদিন আগেই আবুধাবিতে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইতে লড়াই করে জিততে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সেই থাইল্যান্ডকে ঘরের মাঠে পেয়ে যেন থুড়ি মেরে উড়িয়ে দিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। শক্তির বিচারে দুই দলের যে তফাত সেটা মাঠে প্রমাণ করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের শুরুতে দাপট দেখাতে পারায় শিরোপা মিশনের বিশ্বাসটাও চওড়া হয়েছে স্বাগতিকদের।
এমনিতে যেকোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচই সকাল ৯টায় শুরু হলে আগে ব্যাট করা হয় কঠিন। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গ্রাউন্ডের এটি ছিল অভিষেক। উইকেট বুঝে উঠার সুযোগ না নিয়ে শুরুতেই ব্যাট করার চ্যালেঞ্জে পিছিয়ে পড়ে থাইল্যান্ড।
বাংলাদেশের দুর্বার স্পিন শক্তিতে এলোমেলো হয়ে তারা গুটিয়ে যায় স্রেফ ৮২ রানে। ওই রান তুলতে আড়ষ্ট থেকে সতর্ক হয়ে এগুনোর প্রয়োজন হয়নি। শামীমা সুলতানার সৌজন্যে শুরু থেকে ব্যাট চালিয়ে আগ্রাসী মেজাজে ৫০ বল আগেই শেষ করে দেয় খেলা।
৯ উইকেটের বড় জয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পর সংবাদ সম্মেলনে ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে ঘাটতি পূরণের আভাস পেয়ে তৃপ্তির কথা জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, 'অবশ্যই ভালো। আমাদের সবসময় পরিকল্পনা থাকে আমরা যেন পাওয়ার প্লেটা ব্যবহার করতে পারি। শামীমা আপু খুব অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। পাশাপাশি পিংকি খুব ভালো সাপোর্ট দিয়ে গেছে। আমরা কিন্তু এটাই চাই। যে ম্যাচগুলোতে এই ঘাটতি আসে তখন কিন্তু আমরা বড় স্কোর করতে পারি না। কিংবা বড় স্কোর তাড়াও করতে পারি না। সো ফার আমার কাছে মনে হয় ভালো একটা স্টার্ট। এবং ব্যাটারদের ইনটেশন নিয়ে যেটা বললেন, আমরা সবসময় এটা নিয়েই চিন্তা করি। আমাদের ইনটেন্টটা যেন ভালো থাকে।'
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বড় জয়ে আসর শুরু করতে পারায়, শিরোপা ধরে রাখার মিশনেও বাড়তি বিশ্বাস পাচ্ছেন নিগার, 'প্রথমত একটা টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ। পুরো টুর্নামেন্ট আপনি কি করতে যাচ্ছেন, সেটার একটা টোন সেট করে। পাশাপাশি আপনার দলটাকেও বোস্টআপ করে যে আমরা কি করতে যাচ্ছি। কোয়ালিফায়ারে আমি যদি একটা বড় ইনিংস খেলতে পারতাম, বা আর কেউ ভালো করলে আমরা হয়তো ১২০ প্লাস রান হতে পারতো। সেটা হতো ভালো স্কোর। আর সেই উইকেট আর এই উইকেটের মাঝে অনেক তফাৎ আছে। আমি মনে করি থাইল্যান্ড যেমন দল, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রভাব বিস্তার জেতাটাই উচিত।'
Comments