অস্বাভাবিক কড়াকড়িতে সিলেটে মেয়েদের এশিয়া কাপ
প্রথম ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলন তখনো শুরু হয়নি। স্থানীয় মিডিয়া ম্যানেজার জানিয়ে দিলেন, লাইভ করা বারণ তো বটেই, কোন ফুটেজ নেওয়া চলবে না। এমনকি সংবাদ সম্মেলনের স্থিরচিত্রও নেওয়া যাবে না। অনুনয় করেই জানালেন তার আসলে কিছু করার নেই, এমন নির্দেশনাই তাদের দিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
আলোকচিত্র সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানা গেল আরও বিস্ময়কর ঘটনা। টুর্নামেন্টের আগের দিন, সাত অধিনায়ককে নিয়ে ট্রফি উন্মোচন আয়োজনেও ছবি তুলতে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন তারা। ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়েছে দলগুলোর অনুশীলনেও! সেসব বাধা এসেছে এসিসির হয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ পাওয়া দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে।
সাধারণত টিভি সত্ত্ব থাকা টুর্নামেন্টগুলোতে ভিডিওর ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকে। ম্যাচের দিন খেলার কোন ফুটেজ নেওয়া যায় না কোথাও। স্টেডিয়াম আঙিনা থেকে ম্যাচ ডেতে লাইভ করাও নিষেধ। এসব নির্দেশনা মেনেই কাজ করেন গণমাধ্যম কর্মীরা। কিন্তু সিলেটে দেখা গেল একেবারে অন্যরকম দৃশ্য। এখানে অনুশীলনের স্থিরচিত্র তুলতেও বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সিলেটের স্থানীয় সাংবাদিকরা জানালেন, তাদের কাছে এসিসির পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে এক অদ্ভুত বার্তা। ক্যামেরায় ৭০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার লেন্স নিয়ে আসা যেন আলোকচিত্র সাংবাদিকরা ভীষণ গুরুত্বের সঙ্গে নেন, এসিসি নাকি এই ব্যাপারে সজাগ।
একটি গণমাধ্যমে কেমন ডিভাইস থাকবে তা সাধারণত কোন আয়োজক কর্তৃপক্ষই ঠিক করে দেয় না। খেলার মাঠে কি করা যাবে, কি করা যাবে না। নির্দেশনা থাকে তেমনই।
ছেলেদের এশিয়া কাপ ক্রিকেটের সময় বিবৃতি পাঠিয়ে এসিসি জানিয়েছিল, অনুশীলন সেশন ও সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। তবে ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রচার করা যাবে। ছবি তোলাতেও কোন বিধিনিষেধ নেই। একই নিয়ম প্রযোজ্য হওয়ার কথা মেয়েদের আসরেও। সিলেটে এখনো পর্যন্ত এসবের ব্যতিক্রম দেখা গেল।
মেয়েদের খেলাধুলো এখনো দর্শক আগ্রহের দিক থেকে বেশ নিচের দিকে। গণমাধ্যমের প্রচারের আলো বরং প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে নারীদের উঠে আসার গল্পগুলো মানুষের কাছে নিয়ে যায়। সেই কাজটা এবারের মেয়েদের এশিয়া কাপে বেশ কঠিন।
Comments