আমাদের দলটা খুব তরুণ, তাদের জন্য শেখার মঞ্চ: সিডন্স

মুশফিকুর রহিম টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাদ পড়েছেন। অভিজ্ঞ এই দুজন না থাকাতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলকে খুব তরুণ মনে হচ্ছে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের। তার মতে অনেকের জন্য ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপ হবে শেখার মঞ্চ।
ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে মঙ্গলবার প্রথম অনুশীলনে নামে বাংলাদেশ দল। এদিনই যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে দলে যোগ দেওয়ার কথা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের।
দলের অনুশীলন শেষে কোচ সিডন্স স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, তাদের দলটি বেশ তরুণ, 'আমরা দুবাই থেকে এসেছি। সেখানে আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলেছি, সপ্তাহ খানেক দারুণ অনুশীলন সুবিধা পেয়েছি সেখানে। আমাদের দলটা খুব তরুণ। কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় অবসর নিয়েছে বা দলে নেই। তরুণ দল হিসেবে তারা রোমাঞ্চিত। তাদের জন্য এটা শেখার মঞ্চ। দেখা যাক খুব ভালো দুটি দলের বিপক্ষে কেমন খেলি।'
সিডন্স তরুণ বললেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন। ১৫ জনের বাংলাদেশ স্কোয়াডের সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড় হাসান মাহমুদ বাইশ পেরিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি বয়েসি সাকিব ৩৬ বছরের ঘরে। সাকিব ছাড়াও দলে ত্রিশ পেরুনো আছেন সাব্বির রহমান। স্কোয়াডে ১০ জনের বয়েসই ২৫ বা তার বেশি। গড় বয়েস ২৭ এর বেশি। কেবল বয়স উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা আছে বেশিরভাগের।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রধান চিন্তার কারণ ব্যাটিং। বিশেষ করে ওপেনিং নিয়ে চলছে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা। এশিয়া কাপ থেকে মেইক শিফট ওপেনার সাব্বির ও মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া শুরু হয়। এই দুজনের জুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও খেলছে, কিন্তু সফল হয়নি।
সেদিক থেকে এশিয়া কাপের আগের সিরিজগুলোতে ওপেনিংয়ে রান পাচ্ছিলেন লিটন। দলের সেরা ছন্দের ব্যাটারও তিনি। তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তিন বা চারে। ত্রিদেশীয় সিরিজেও লিটনের নিচে নামার আভাস দিলেন সিডন্স, 'সাব্বির ও মিরাজের ওপেনিং তামিম ও লিটনের থেকে বেশ ভিন্ন। লিটন এখানে আছে তিন বা চারে খেলবে। আমাদের এখনো কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় আছে কিন্তু তরুণরা খুব উদীপ্ত।'
৭ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে নামবেন সাকিবরা। বিশ্বকাপের আগে কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিচারে এই আসরকে ভীষণ কার্যকর মনে করছেন সিডন্স, 'ওদের (প্রতিপক্ষ) নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তান অবশ্যই দারুণ টি-টোয়েন্টি দল। তাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারলে বিশ্বকাপেও হয়ত ভাল কিছু সম্ভব।'
অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের মূল আসরে নামার আগে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলতে পারার বড় ইতিবাচক দিক দেখছেন সিডন্স, 'আমরা ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থেকে খুব ভালো ঠান্ডা আবহাওয়ায় এসেছি। কন্ডিশন একই থাকবে অস্ট্রেলিয়ার। এখানকার উইকেট, ইনডোর খুবই ভালো। এজন্য আমরা এখানে এসেছি। প্রাক মৌসুমের অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এখানকার খুব মিল আছে।'
Comments