হারের পর সোহান বলেই চললেন, 'উন্নতির জায়গা আছে'
প্রতিটি ম্যাচের আগে শোনা যায় আশার বাণী। মাঠের খেলায় সেটার প্রমাণ রাখতে না পেরে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশার সুর বাজে। এই আক্ষেপের বৃত্তের মাঝেই বন্দি যেন বাংলাদেশ দল! বিশেষ করে, ক্রিকেট সবচেয়ে আধুনিক সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও আটকে গেলেন একবিন্দুতে। বারবার বলতে থাকলেন, তাদের উন্নতির জায়গা আছে।
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। হারের ব্যবধান খুব বড় না। তবে ম্যাচের আসল ছবি পাওয়া যাচ্ছে না এই ফল থেকে। বোলিংয়ে পেসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনাররা ভালো করলেও মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ ছিলেন খরুচে। তারপরও পকিস্তানকে ৫ উইকেটে ১৬৭ রানে বেঁধে ফেলা গিয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ ব্যাটারের পারফরম্যান্স ছিল হতাশায় মোড়ানো।
হ্যাগলি ওভালের স্পোর্টিং উইকেটে লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ পৌঁছাতে পারে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান পর্যন্ত। তিনে নেমে লিটন দাস ২৬ বলে ৩৫ রান করেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ১ ছক্কা। চারে নামা আফিফ হোসেন খেলেন ২৩ বলে ২৫ রানের ইনিংস। তাদের ৪০ বলে ৫০ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙার পর খেই হারায় টাইগাররা। মাত্র ১৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট খুইয়ে ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে।
সাত নম্বরে নেমে ইয়াসির আলি রাব্বি বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ৪২ রান করেন। মাত্র ২১ বল মোকাবিলায় ৫ চার ও ২ ছক্কা মারেন তিনি। পেসার হারিস রউফের করা ইনিংসের শেষ ওভারে বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছুটিয়ে ২০ রান আনেন। নইলে আরও বড় জয় পেত পাকিস্তান।
আগের দিন বৃহস্পতিবার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান যোগ দেন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। কিন্তু ভ্রমণজনিত ক্লান্তির কারণে এই ম্যাচে তিনি খেলেননি। ফলে নিয়মিত সহ-অধিনায়ক সোহানকে দিতে হয় নেতৃত্ব। ম্যাচের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো ভিডিও বার্তায় ঘুরেফিরে সেই পুরনো আলাপ করেন তিনি, 'যে কন্ডিশন ছিল, উইকেটও ভালো ছিল, তারপরও আমার মনে হয়, স্পিনাররা মাঝের ওভারগুলোতে ভালো করেছে। কিছু ওভারের একদম শেষ বলে বাউন্ডারি হয়েছে। তো আমার মনে হয়, এরকম কিছু উন্নতির জায়গা আছে আমাদের।'
'আজকের ম্যাচে উইকেট ভালো ছিল। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু জায়গা আছে উন্নতি করার। তবে আমার কাছে মনে হয় যে বোলাররা ভালো বল করেছে। আমাদের ব্যাটাররা, যেমন- লিটন, রাব্বি ভালো করেছে। তবে মাঝে আমরা দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়েছি। তো আমার কাছে মনে হয়, এখানে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে। কিছু জায়গায় উন্নতি করতে পারলে সেটার ফল হয়তো বিশ্বকাপে পাব।'
'আমাদের পেস বোলাররা কঠোর পরিশ্রম করছে এবং কিছু কিছু জায়গায় উন্নতির চেষ্টা করছে। আমার মনে হয়, তারা ভালো বল করার চেষ্টা করছে এবং অবশ্যই উন্নতির জায়গা আছে। যেমন উইকেট ছিল, আমার মনে হয়, সবমিলিয়ে বোলাররা চেষ্টা করেছে ভালো করার। তবে উন্নতি করার জায়গা আছে।'
১২ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৯১ রান। একই সময়ে বাংলাদেশ ছিল ২ উইকেটে ৮৪ রানে। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে তেমন পার্থক্য ছিল না। কিন্তু এরপর পাকিস্তানের বোলারদের তোপে লক্ষ্য থেকে বহুদূরে সরে যায় টাইগাররা। সোহান বলেন, 'দ্রুত ২ উইকেট পড়ার পর লিটন ও আফিফের একটা জুটি হয়। তো আমার মনে হয়, উইকেট খুব ভালো ছিল। কিন্তু তিন-চার ওভারের মধ্যে আমরা ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলি। ওখানেই ম্যাচের পার্থক্য তৈরি হয়েছে। এখানে যদি আমরা একটু ভালো করতে পারতাম, তাহলে গল্পটা ভিন্ন হতে পারত।'
Comments