পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে পাকিস্তানের কাছে হেরেছে ভারত!

মেয়েদের ক্রিকেটের শক্তির বিচারে পাকিস্তানের চেয়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে ভারত। টুর্নামেন্টের ফর্মও ছিল ভারতের দিকেই পাল্লা ভারি করছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় আসরের ফেভারিটরা। এমন হারের পর ঘাবড়ে যাওয়ার কোন কারণ দেখছেন না কোচ রমেশ পাওয়ার। হারের কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বরং বলেছেন, সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ব্যাটিং অর্ডারে নতুন কিছু বাজিয়ে দেখতে গিয়ে রান তাড়া করতে পারেননি তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেয়েদের এশিয়া কাপে ভারতকে ১৩ রানে হারিয়ে দেয় ভারত। টি-টোয়েন্টিতে ১৩ দেখায় ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের এটি স্রেফ তৃতীয় জয়।
শুক্রবার আগে ব্যাট করতে গিয়ে নিদা দারের ফিফটিতে ১৩৭ রান করে পাকিস্তান। তালগোল পাকানো রান তাড়ায় গিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারেনি ভারত। শেষ ওভারে গুটিয়ে যায় ১২৪ রানে।
এদিন ওপেনিংয়ে শেফালি বর্মাকে খেলায়নি ভারত। স্মৃতি মান্ধানার সঙ্গে টুর্নামেন্টে এক ফিফটি করা সাবহিনেনি মেঘনা খেলতে নামেন। তিনে জেমাইমা রদ্রিগেজ পর্যন্ত ব্যাটিং অর্ডার ঠিক থাকলেও পরে হয় অদল বদল। ডায়লানা হেমলতা ও পুজা ভাস্টাকার নামেন চার ও পাঁচে। দীপ্তি শর্মা ছয় ও হারমানপ্রিত কাউর নামেন সাতে। আগ্রাসী ব্যাটার রিচা ঘোষকে আটে নামতে দেখা যায়। তিনি নেমে ১৩ বলে ২৬ করে ম্যাচ জমালেও কাজ সারতে পারেননি।
ম্যাচ শেষে কথা বলতে এসে রমেশ বলেন কিছুটা বাজিয়ে দেখার চিন্তায় নেমেছিলেন তারা, 'লক্ষ্য তাড়া করার মতো ছিল। তবে আমরা নিয়মিত যাদের দিয়ে তাড়া করাই, তাদের নিয়ে চেষ্টা করিনি। তরুণ কেউ যেন দায়িত্ব নিতে পারে এটা চেয়েছি। কারণ এটা আমাদের চার নম্বর ম্যাচ। আমরা পূজা, রিচা, রাধা, হেমলতাদের সুযোগ দিতে চেয়েছি; তারা তরুণ খেলোয়াড়। তাদের এই ধরনের চাপের মধ্যে দিয়ে যাওয়া দরকার।'
ভারত কোচ বলেন, সামনের বিশ্বকাপ মাথায় রেখে তরুণদের এশিয়া কাপের মঞ্চে ঝালিয়ে নিতে চেয়েছিলেন তারা, 'হারমান, জেমি, স্মৃতিরা অনেকদিন ধরেই এমন চাপ সামলে আসছে। আমাদের চিন্তা ছিল তাদের চাপটা অনুভব করতে দেওয়া। বিশ্বকাপের আগে এটা দরকার। আমরা এটা এশিয়া কাপে করছি কারণ হাতে খুব বেশি ম্যাচ নেই। '
সাত দলের এশিয়া কাপে কোন গ্রুপ নেই। প্রতিটি দলই একে অন্যের বিপক্ষে খেলছে। ভারত টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমি অনেকটা নিশ্চিত করে নেয়। রমেশ জানালেন, দুই গ্রুপে খেলা হলে এই চিন্তায় যেতেন না তারা, 'আমার মনে হয় ছয়টা লিগ ম্যাচ এটা করার সুযোগ দিয়েছে আমাদের। যদি দুই গ্রুপ হতো, এক ম্যাচ করে তাহলে এটা করতাম না। আমরা চাই সব কন্ডিশন ও চাপের জন্য দল তৈরি করতে। অবশ্যই জিততে চাই কিন্তু কিছু বিষয় খুঁজে বের করা দরকার।'
রমেশের সঙ্গে এতে একমত হননি পাকিস্তান অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ। নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলেই ভারতকে হারাতে পেরেছেন তারা, 'আমার তেমন মনে হয় না। তাদের আসল ব্যাটিং লাইন-আপ খেলেছে, গভীরতাও ছিল ব্যাটিংয়ে। আমাদের দল অসাধারণ খেলেছে। গতকালকের ম্যাচের পর এই জয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কৃতিত্বটা আমার দলের সবার।'
Comments