নিউজিল্যান্ডকে সাদামাটা লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, সাকিব আল হাসানরা উইকেটে সেট হলে ঠিকই। কিন্তু পারলেন না ইনিংস লম্বা করতে। পারেননি রানের গতি বাড়াতেও। শেষ দিকে এসে কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করেন নুরুল হাসান সোহান। তাতে কোনো মতে লড়াই করার পুঁজি মিলেছে বাংলাদেশের।
রোববার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান করেছে টাইগাররা।
এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশ দলের ইনিংসের গোড়াপত্তন করে আসছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। মিরাজ কিছু ইনিংসে রান পারলেও সাব্বির পারেননি কিছুই করতে। যে কারণে এদিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাদ দেওয়া হয় তাকে। তার জায়গায় খেলতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর ফেরার ম্যাচে খুব একটা খারাপ করেননি এ ব্যাটার।
যদিও ওপেনিং জুটি ভুগেছে আগের মতোই। এদিন এসেছে ১২ রান। টিম সাউদির করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরেছেন মিরাজ। পেছনের দিকে সরে গিয়ে খেলতে গিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে দেন মিডঅনে। দ্বিতীয় উইকেটে লিটনের সঙ্গে ৪১ রানের জুটিতে প্রাথমিক চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন শান্ত।
তবে এ জুটি ভাঙতে পারতো শুরুতেই। কারণ রানের খাতা খোলার আগেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন লিটন। কভারে তার ক্যাচ মিস করেন জেমস নিশাম। এরপর ব্যক্তিগত ১৩ রানে রানআউট হতে হতে হননি। তবুও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। পেছনের পায়ে ভর দিয়ে খেলতে গিয়ে বোলার ব্রেসওয়েলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। ১৬ বলে ১৫ রান করেন তিনি।
তবে এ জুটি ভাঙার পর স্কোরবোর্ডে ২৫ রান যোগ হতে আরও তিনটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফলে বড় চাপে পড়ে তারা। দারুণ সেট হয়ে যাওয়া শান্তকে ফেরান ইশ সোধি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পঞ্চম বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট নেন সোধি। উইকেট থেকে বেরিয়ে লংঅফ সীমানার উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে চাপম্যানের হাতে ধরা পড়েন শান্ত। ২৯ বলে ৩৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর মোসাদ্দেক হোসেনকেও তুলে নেন সোধি। তিনিও উইকেটে ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। হতাশ করেছিলেন ইয়াসির আলীও। আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাট করা এ ব্যাটার উড়িয়ে মেরে আউট হয়েছেন সীমানায়। ব্রেসওয়েলের বলে ব্যক্তিগত ৭ রানে ক্যাচ তুলে দেন অ্যাডাম মিলনের হাতে।
কিছুটা বিস্ময় ছড়িয়ে এদিন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সাকিব। জুটি বাঁধেন আফিফ হোসেনের সঙ্গে। ২৪ রানের জুটি গড়েন তারা। এ আফিফকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন বোল্ট। ২৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তবে আগেই ফিরতে পারতেন আফিফ। ব্যক্তিগত ৮ রানে মিলনের হাতে জীবন পেয়েছিলেন তিনি।
রানের জন্য ছটফট করতে থাকা সাকিবও তেমন কিছু করতে পারেননি। সাউদির বলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে আউট হয়েছেন অতিরিক্ত ফিল্ডার মার্টিন গাপটিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তবে আট নম্বরে নেমে দারুণ এক ক্যামিও খেলেন সোহান। ১২ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন অপরাজিত ২৫ রান। তাতে লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
Comments