মালানের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়াকে ফের হারাল ইংল্যান্ড
এক প্রান্তে ঝড় তুলে ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেন ডেভিড মালান। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন মঈন আলীকে। এরপর স্যাম কারানের নেতৃত্বে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। তাতে দ্বিতীয় ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়াকে হারাল ইংল্যান্ড। ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল সফরকারী দলটি।
বুধবার ওভালে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে তারা। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭০ রান তুলতে সমর্থ হয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচেও একই ব্যবধানে জিতেছিল ইংলিশরা।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাই ভালো করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ২২ রানেই দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে হারায় দলটি। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৯ রান যোগ করেন মিচেল মার্শ। ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে স্যাম কারান এ জুটি ভাঙলে ফের চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
তবে স্টয়নিসকে নিয়ে ৪০ রানের আরও একটি জুটি গড়ে লড়াই প্রায় জমিয়ে দিয়েছিলেন মার্শ। এ জুটিও ভাঙেন কারান। এবার ফেরান স্টয়নিসকে। এরপর মার্শের সঙ্গে জুটি বাঁধেন টিম ডেভিড। তবে জুটি জমে ওঠার আগেই মার্শকে ফিরিয়ে ইংলিশদের ম্যাচে ফেরান বেন স্টোকস।
এরপর ম্যাথিউ ওয়েডের সঙ্গে ডেভিডের ৩১ রানের আরও একটি জুটি। তাতে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল দলটি। কিন্তু কারানের তৃতীয় শিকার হয়ে ডেভিড ফিরলে ফের চাপে পড়ে যায় অজিরা। সে চাপ আর উতরে উঠতে পারেনি দলটি। শেষ দিকে প্যাট কামিন্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়েও কাজ হয়নি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন মার্শ। ২৯ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৩ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪০ রান করেন ডেভিড। ১১ বলে ১৮ রান আসে কামিন্সের ব্যাট থেকে। ইংলিশদের পক্ষে ২৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন কারান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ইংল্যান্ড। জস বাটলারকে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন প্যাট কামিন্স। তোপ দাগান মার্কাস স্টয়নিসও। ফলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে দলীয় ৫৪ রানে সাজঘরে ফিরে যান চার ব্যাটার। তবে পঞ্চম উইকেটে মঈন আলীকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন ডেভিড মালান। গড়েন ৯২ রানের জুটি। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় সফরকারীরা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলে স্টয়নিসের শিকার হন মালান। ৪৯ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ টপ অর্ডার ব্যাটার। মঈনের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। ২৭ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া বাটলারের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। অজিদের পক্ষে ৩৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন স্টয়নিস। ২টি শিকার অ্যাডাম জাম্পার।
Comments