লিটন-সাকিবের ফিফটিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি
ওপেনারদের বাজে শুরুর পর বাউন্ডারির ঝলকে জড়তা কাটান লিটন দাস। মুগ্ধতা ছড়ানো ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ফিফটি। তার সঙ্গে মিলে দারুণ জুটিতে সঙ্গত করেন সাকিব আল হাসান। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিবও পান ফিফটির দেখা, শেষ দিকেও তুলেন ঝড়। এই দুজনের ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশ পেয়েছে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো পুঁজি।
ক্রাইস্টচার্চে বৃহস্পতিবার ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে আগে ব্যাটিং বেছে বাংলাদেশ করেছে ১৭৩ রান। ৪২ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন লিটন, ৪২ বলে সাকিব করেন ৬৮ রান।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দলকে চাপে ফেলে দেন শান্ত। প্রথম ওভারে প্রতিটি বলেই হন পরাস্ত। প্রথম ৯ বলে করেন স্রেফ ১ রান। সৌম্য সরকার মুখোমুখি প্রথম বলে লফটেড শট খেলে তিন রান নিয়ে খাতা খুলেন। এক পাশে শান্তর বাড়িয়ে দেওয়া চাপে কাবু হন তিনি নাসিম শাহকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে নিতে পারেননি। সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৪ রান করে।
তিনে নেমে লিটন দেখান কীভাবে কাজে লাগাতে হয় পাওয়ার প্লে। একের পর দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারি মেরে রানের চাকা করেন সচল। লিটনকে মারতে দেখে শান্তও দুই চারে নিজের খেলা ডট বল কিছুটা কমান। কিন্তু পুষিয়ে দেওয়া হয়নি তার। ২ চারে তার ১২ বলে ১৫ রানের ইনিংস শেষ হয়েছে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে। লেগ স্টাম্পের বাইরের বল ঘুরাতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।
এরপরই জমে উঠে লিটন-সাকিবের দারুণ জুটি। পেশিতে টান পড়লেও সামলে নিয়ে লিটন ছিলেন চোখ ধাঁধানো। ইনসাইড আউট, পুল, স্লগ সুইপের বাহার দেখিয়ে এগিয়ে নেন নিজের ইনিংস। ৩১ বলে বাংলাদেশের সেরা ছন্দের ব্যাটার স্পর্শ করেন টি-টোয়েন্টিতে তার সপ্তম ফিফটি। ২৮তম জন্মদিন দারুণ ইনিংসে ভাস্বর হয় তার।
সাকিব আগের দিনের আগ্রাসন দেখাতে দেরি করেননি। মোহাম্মদ নাওয়াজের বাঁহাতি স্পিনে ছক্কায় উড়িয়ে শুরু তার। স্পিনারদের চেপে বসতে না দিয়ে হন চড়াও, পেসারদের বিপক্ষে বের করেন রান। প্রান্ত বদলেও এই দুজন ছিলেন ভীষণ সচল। তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে চলে আসে ৮৮ রান।
নাওয়াজের বলে ১৫তম ওভারে ফিরেন লিটন। স্লগ সুইপে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় বাউন্ডারি লাইনে ধরা দেন এই ডানহাতি। ৪২ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রানের ইনিংস। ৬ চারের সঙ্গে তার ব্যাট থেকে আসে ২ ছক্কা।
সাকিব চালিয়ে যান আগের ধারায়। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৪ বলে পুরো করেন ফিফটি। পরে দ্রুত আরও কিছু রান বের করেন। ১৯তম ওভারে নাসিমকে উড়াতে দিয়ে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় বাংলাদেশ অধিনায়কের ইনিংস।
তার আউটের পর শেষ কয়েক বলে বেশি রান আসেনি। দ্রুত ফেরেন ইয়াসির আলি ও আফিফ হোসেন। ওয়াসিমের করা শেষ ওভার থেকে বাংলাদেশ নিতে পারে ৩ রান।
Comments