এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডেও ব্যর্থ জাতীয় দলের ব্যাটাররা

ভারতে 'এ' দলের সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলছেন জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়রাই। তবে যথারীতি ব্যর্থ তারা। প্রথম রাউন্ডে তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম শেখদের ব্যাটে রান ছিল না।

ভারতে 'এ' দলের সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলছেন জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়রাই। তবে যথারীতি ব্যর্থ তারা। প্রথম রাউন্ডে তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম শেখদের ব্যাটে রান ছিল না।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম বিভাগ। তামিম (১৯), মাহমুদুল হাসান জয় (১১), মুমিনুল হক (১৩) কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি। তবে সবাই উইকেটে সেট হয়েছিলেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে হাসান মুরাদের ব্যাট থেকে। মূলত পেসার মুকিদুল ইসলাম ও মুশফিক হাসানের তোপে পড়ে দলটি। মুকিদুল ৪টি ও মুশফিক ৩টি উইকেট নেন।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে দুই উইকেটে ৯৬ রান তুলেছে রংপুর বিভাগ। তানবির হায়দার ২৯ ও নাঈম ইসলাম ১৯ রানে অপরাজিত আছেন। আবদুল্লাহ আল মামুন করেছেন ৩১ রান।

প্রথম স্তরের অপর ম্যাচে সাভারের বিকেএসপিতে ঢাকা বিভাগের হয়ে খেলতে নেমে জাতীয় দলে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকা সাইফ হাসানও ব্যর্থ। ১২ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে রনি তালুকদারের ব্যাট থেকে। ফলে ১৮ রানে গুটিয়ে যায় তারা। সিলেটের পক্ষে এদিনও জ্বলে উঠেছেন স্পিনার নাবিল সামাদ। পেয়েছেন ৫টি উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও আবু জায়েদ রাহী।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ৫৯ রান করেছে সিলেট। অমিত হাসান ২৪ ও জাকির হাসান ২৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক মোহাম্মদ নাঈম শেখ এদিনও ব্যর্থ। ১০ রানে বোল্ড হন ফরহাদ রেজার বলে। সাদমান ইসলাম ফিরেছেন ১ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩৪ রান করেছেন আবু হায়দার রনি। রাকিবুল হাসান করেন ২৩ রান। ফলে ১৩৪ রানে অলআউট হয় দলটি। রাজশাহীর পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা ও ফরহাদ রেজা। ২টি করে উইকেট পান শফিকুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ৭২ রান করেছে রাজশাহী। জুনায়েদ সিদ্দিকি ৩২ ও তৌহিদ হৃদয় ২৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন।

কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ২১০ রান করে দিন শেষ করেছে বরিশাল বিভাগ। মূলত সালমান হোসেনের ৭৩ ও ফজলে মাহমুদের ৬৩ রানে ভর করে এ পুঁজি পায় দলটি। কামরুল ইসলাম ও তানভির ইসলাম দুই জনই ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন। খুলনার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আশিকুর জামান ও আব্দুল হালিম।

Comments