তামিলনাড়ুতে হৃদয়ের ব্যাটে রান, মিঠুনদের সিরিজ হার

 প্রথম ম্যাচও ১১ রানে হেরেছিল বিসিবি একাদশ। ফলে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
Towhid Hridoy

প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও রান পেলেন না মাহমুদুল হাসান জয়, এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ মিঠুনরা। আগের ম্যাচের তুলনায় গড়পড়তা থাকলেন বোলাররাও। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে তাই লড়াইও খুব একটা জমাতে পারেনি বিসিবি একাদশ।

মঙ্গলবার দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ডিএলএস মেথডে বাংলাদেশের দলটি হেরেছে ৫৮ রানে। আগে ব্যাট করে শাহরুখ খানের আগ্রাসী সেঞ্চুরিতে ৩০৬ রান করে তামিলনাড়ু। জবাব দিতে গিয়ে বিসিবি একাদশ ৪০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৪ করার পর বৃষ্টিতে আর খেলা হয়নি। পরে বৃষ্টি আইনে নির্ধারিত হয় ম্যাচের ফল। প্রথম ম্যাচও ১১ রানে হেরেছিল বিসিবি একাদশ। ফলে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।

দ্বিতীয় ম্যাচে উল্লেখ্যযোগ্য পারফরম্যান্স তৌহিদ হৃদয়ের। ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ৭৪ বলে করেন ৭৩ রান। রান পেয়েছেন প্রথম ম্যাচে ৮৬ করা  জাকের আলি অনিকও। ৫০ বলে ৩৬ রান করেছেন তিনি।

৩০৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় বলেই বিদায় নেন জয়। বিজয় ও সাইফ হাসান মিলে ৫৬ রানের একটি জুটি গড়েছিলেন। থিতু হওয়া সাইফকে (২৯ বলে ৩০) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সঞ্জয় যাদব। খানিক রান আউটে কাটা পড়েন ২৪ রান করা বিজয়।

সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক একদিনের ক্রিকেটে নেমে পেরে উঠেননি। ১২ বলে কেবল ৬ রান করে তিনিও শিকার সনু যাদবের মিডিয়াম পেসের। অধিনায়ক মিঠুন পাঁচে নেমে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ। এম সিদ্ধার্থের বলে ৮ বলে ১ রান করে বিদায় নেন তিনি।

৬৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বিসিবি একাদশ। তৌহিদ হৃদয় পরে তাইজুল ইসলামকে নিয়ে আনেন ৪১ রানের জুটি। ৩৩ বলে ১৬ করে ফিরে যান তাইজুলও। রানরেটের চাপও যায় বেড়ে। কঠিন পরিস্থিতিতে নেমে আগের ম্যাচে ৮৬ রান করেছিলেন কিপার জাকের আলি অনিক। তাকে আবারও পাওয়া যায় ছন্দে। হৃদয়-জাকেরের জুটি বেশ জমে উঠছিল। তখন বাধ সাধে বৃষ্টি। বৃষ্টি না হলেও অবশ্য ম্যাচ জিততে শেষ ১০ ওভারে ১১২ রান করতে হতো বিসিবি একাদশকে। হাতে ছিল কেবল ৪ উইকেট।

এর আগে ব্যাটিং বেছে বাংলাদেশের বোলারদের অনায়াসে সামলায় তামিল দলটি। এন জাগডেশান রান আউটে ফিরে গেলেও সূর্য প্রকাশ (৪২)  ও সাই সুদর্শনের (৪০) জুটিতে শুরুটা তাদের বেশ জুতসই।

মাঝের ওভারে হৃদয়, সাইফরা স্পিন নিয়ে কিছুটা চেপে ধরেছিলেন। সৈয়দ খালেদ আহমদ, রেজাউর রহমান রাজাও উইকেট এনে দিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে ১৮১ রানে পড়েছিল ৫ উইকেট। কিন্তু এরপর ছয়ে নেমে খেলাটা নাগালের বাইরে নিয়ে যান শাহরুখ।

আইপিএল মাতানো তারকা টি-টোয়েন্টি মেজাজে তুলেন সেঞ্চুরি। ৬৯ বলে ৭ চার, ৪ ছক্কায় করেন ১০০ রান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Inflation eases to 10.49% in August  

Inflation declined to 10.49 percent in August from 11.66 percent in July, according to data released today by the Bangladesh Bureau of Statistics

53m ago