বৃষ্টি আইনে টাই হলো শেষ ম্যাচ, সিরিজ ভারতের
সিরিজে এগিয়ে ছিল ভারত। যদিও তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সামনে সুযোগ ছিল সমতা ফেরানোর, কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি হতে দিল না সেটা। কিউইদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ার সময় ভারত নয় ওভার ব্যাট করার পরই নামল বৃষ্টি, ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে হার্দিক পান্ডিয়াদের রান পার স্কোরে থাকায় টাই ঘোষিত হলো ম্যাচ।
মঙ্গলবার নেপিয়ারে শেষ ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি ভারত-নিউজিল্যান্ড কেউই। ফলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল পান্ডিয়ার দল। আগে ব্যাট করে ১৯.৪ ওভারে ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। জবাবে ভারত নয় ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান তোলার পর নামে বৃষ্টি। ডার্কওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে সেসময় পার স্কোরও ছিল ৭৫। ফলে টাই হয়ে যায় ম্যাচটি।
মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং ধ্বসে পড়ে ভারত। দ্বিতীয় ওভারেই দশ রান করে ফিরে যান ইশান কিশান। এক ওভার বাদে পর পর দুই বলে রিশভ পান্ত ও শ্রেয়াস আয়ারকে তুলে নেন গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা টিম সাউদি।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক পান্ডিয়ার সঙ্গে ৩৯ রান করেন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সূর্যকুমার যাদব। আজ হাসেনি তার ব্যাট, দলীয় ৬০ রানে ইস সোধির শিকার বনে যান এই ধ্বংসাত্মক ব্যাটার। এরপর দীপক হুডাকে সঙ্গে নিয়ে ভালোই এগিয়ে চলছিলেন পান্ডিয়া, কিন্তু এরপরই বৃষ্টির কারণে খেলার সমাপ্তি টানেন আম্পায়াররা। মাত্র ১৮ বল থেকে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক।
এর আগে বৃষ্টির কারণে কিছুটা দেরিতে শুরু হয় খেলা। টসে জিতে ব্যাটিং নেন এই ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা সাউদি। এই ম্যাচেও শুরুতে ফিরে যান ফিন অ্যালেন। এরপর ডেভন কনওয়ে ৩৫ ও ৮৬ রানের জুটি গড়েন মার্ক চ্যাপম্যান ও গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে। একপ্রান্ত আগলে ফিফটি তুলে নেন কিউই উইকেটরক্ষক।
অপর প্রান্তে চাপম্যানকে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ, তবে ফিলিপস ঠিকই পূর্ণ করেন অর্ধশতক। দলীয় ১৩০ রানে ৩৩ বলে ৫৪ রান করে এই মিডল অর্ডার ব্যাটার আউত হওয়ার পরের ওভারেই ফিরে যান কনওয়ে (৪৯ বলে ৫৯)। এরপর আর্শদ্বীপ ও সিরাজের তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং অর্ডার। অলয়াউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে ১৬০ রান যোগ করতে সক্ষম হয় তারা।
মাত্র ১৭ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন সিরাজ। এদিকে দ্বিতীয় ম্যাচের সেঞ্চুরিসহ মোট ১২৪ রান করে সিরিজসেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন সূর্যকুমার।
Comments