কনওয়ের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হারাল নিউজিল্যান্ড
দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করলেন ডেভন কনওয়ে। দারুণ ব্যাটিংয়ে তাকে ভালো সহায়তা করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তাতে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এরপর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। যদিও এক প্রান্তে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। কিন্তু সতীর্থদের ব্যর্থতায় শেষ রক্ষা করতে পারেননি। সিরিজে সমতা ফেরায় সফরকারীরা।
বুধবার করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭৯ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৫ ওভারে ২৬১ রানে গুটিয়ে যায় তারা। জবাবে ৭ ওভার আগেই পাকিস্তানকে ১৮২ রানে অলআউট করে জয় নিশ্চিত করে কিউইরা।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই চাপে ছিল স্বাগতিকরা। রানের খাতা খোলার আগেই টিম সাউদির বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ওপেনার ফখর জামান। আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হককে ছাঁটাই করেন লকি ফার্গুসন। তাতে দলীয় ৯ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় পাকিস্তান।
এরপর উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক বাবর। গড়েন ৫৩ রানের জুটি। রিজওয়ানকে বোল্ড করে এ জুটি ভাঙেন মিচেল স্যান্টনার। এরপর আর সে অর্থে জুটি গড়তে পারেনি দলটি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে সাত ওভার বাকি থাকতেই আউট হয়ে যায় তারা।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেছিলেন বাবর। ইশ শোধির বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ার আগে খেলেন ৭৯ রানের ইনিংস। ১১৪ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৫০ বলে ২৮ রান করেন রিজওয়ান। এছাড়া আঘা সালমানের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট পান শোধি ও সাউদি।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ব্যক্তিগত ১ রানে ফিন অ্যালানকে হারায় দলটি। এরপর আরেক ওপেনার কনওয়ের সঙ্গে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। দ্বিতীয় উইকেটে ১৮১ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতেই শক্ত ভিত পেয়ে যায় দলটি।
কনওয়েকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন নাসিম শাহ। তবে বোল্ড হওয়ার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন এ ওপেনার। ৯২ বলে খেলেন ১০১ রানের ইনিংস। নিজের ইনিংসটি গড়তে মারেন ১৩টি চার ও ১টি ছক্কা।
এ জুটি ভাঙতেই মোহাম্মদ নাওয়াজের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড। এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেন অধিনায়কও। নাওয়াজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে খেলেন ৮৫ রানের ইনিংস। ১০০ বলে ১০টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। আট নম্বরে নামা স্যান্টনার করেন ৩৭ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩৮ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন নাওয়াজ। ৫৮ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান নাসিম শাহ।
Comments