পাকিস্তানের কাছে পাত্তা পেল না বাংলাদেশ
মূল লড়াই শুরুর আগে পালা নিজেদেরকে ঝালিয়ে নেওয়ার। তবে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে সুবিধা করতে পারলেন না বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বোলাররা চেষ্টা চালালেও সাদামাটা লক্ষ্য সহজেই পেরিয়ে গেল পাকিস্তানের নারীরা।
সোমবার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে পাকিস্তানের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১০১ রান তোলে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। জবাবে ২৪ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে ১০৫ রান করে জয়ের হাসি হাসে বিসমাহ মারুফের দল।
তৃতীয় ওভারেই ভাঙে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। সালমা খাতুন বিদায় নেন নিদা দারের বলে ক্যাচ দিয়ে। আরেক ওপেনার সোবহানা মোস্তারি ও শামিমা সুলতানার জুটিতে চাপ সামলে নেয় দল।
দুজনে ৩৮ রান যোগ করলেও খেলেন ধীরগতিতে। ২১ বলে ১৮ রান করে মোস্তারি হন বোল্ড। শামিমা ও দলনেতা নিগার আভাস দিলেও বেশিদূর এগোয়নি তাদের জুটি। ৪১ বলে ৩ চারে ৩৬ রান করে নাশরা সুন্ধুর বলে এলবিডব্লিউ হন শামিমা। এরপরই খেই হারায় বাংলাদেশ।
এক পর্যায়ে, ১৪তম ওভারে দলের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৭০ রান। টপাটপ উইকেট হারিয়ে লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়ার আশা ভেস্তে যায় তাদের। মোস্তারি ও শামিমা বাদে দুই অঙ্কে পৌঁছান কেবল জ্যোতি। ১৮ বলে ১৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
ইনিংসের শেষ বলে বাংলাদেশের স্কোর একশ পেরোয়। সব মিলিয়ে মাত্র ৫টি চার মারেন ব্যাটাররা। হয়নি কোনো ছক্কা। পাকিস্তানের পক্ষে নিদা ১২ ও নাশরা ১৯ রানে ২টি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তানের শুরুটাও ছিল না ভালো। দলীয় ১২ রানে সিদরা আমিনকে বোল্ড করে দেন পেসার মারুফা আক্তার। আরেক ওপেনার জাভেরিয়া খান বিদায় নেন থিতু হয়ে। তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মারুফাই।
২৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক বিসমাহ। মুনিবা আলিকে নিয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়েন তিনি। তাতে জয়ের কক্ষপথে চলে আসে পাকিস্তান।
নিজের পরপর দুই ওভারে মুনিবা ও বিসমাহকে সাজঘরে পাঠান লেগ স্পিনার রুমানা আহমেদ। ১৫ বল খেলে ৯ রান করা মুনিবা দেন ফিরতি ক্যাচ। বিসমাহ ৩৩ বলে খেলেন ২৪ রানের ইনিংস।
১৩তম ওভারে ৬৯ রানে নেই পাকিস্তানের ৪ উইকেট। নাটকীয় কিছুর সম্ভাবনা তখনও ছিল। তবে নিদা ও আয়েশা নাসিম অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রানের জুটিতে শেষ করে দেন ম্যাচ।
১৯ বলে ৩ চারে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন নিদা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১০ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন আয়েশা। তিনি মারেন ২ চার ও ১ ছক্কা। বাংলাদেশের হয়ে রুমানা ৬ রানে পান ২ উইকেট। সমান উইকেট শিকার করলেও খরুচে ছিলেন মারুফা। তার ৩ ওভারে আসে ২৭ রান।
Comments