নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

সুযোগ হাতছাড়ায় চরম হতাশ বাংলাদেশ 

Jahanara Alam

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার টানা হারের বৃত্ত থেকে বেরুতে চেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অন্তত একটি জয়ের খোঁজে মরিয়া ছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। কিন্তু আরও একবার ব্যাটিং এবং ফিল্ডিংয়ের ভুলে হতাশ করেছেন তারা। অল্প রান নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরুতে চাপে ফেললেও ক্যাচ ও স্টাম্পিং মিসের মহড়ায় লড়াই আর জমেনি। টানা চার বিশ্বকাপে জয়হীন থাকার হতাশার কথা পরে জানালেন পেসার জাহানারা আলম।

কেপটাউনে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কেবল ১১৩ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। ছোট পুঁজি নিয়েও মারুফা আক্তার, জাহানারারা চাপ তৈরি করেছিলেন। প্রথম ১০ ওভারে কেবল ৪৩ রান এনেছিল প্রোটিয়ারা।

এরমধ্যে পড়তে পারত একাধিক উইকেট। ফিফটি করা তাজমিন ব্রিটসের ক্যাচ হাতছাড়া করেন সোবহানা মোশতারি। কিপার শামীমা সুলতানা দুবার মিস করেন সহজ স্টাম্পিং।

ম্যাচ শেষে দলের হয়ে কথা বলতে এসে জাহানারা জানান, ভুলের জন্য পুরো দলই ডুবছে হতাশায়,  'এটা খুব কষ্টের অনুভূতি। শুধু আমি না সবার জন্যই আসলে। বিশেষ করে যে ক্যাচ ছেড়ে বা যে স্টাম্পিং মিস করেছে সে আরও বেশি কষ্ট পাওয়ার কথা। সবাই আপসেট। এই জায়গা থেকে ইতিবাচক কিছু নিয়ে সামনে এগুতে হবে।'

ফিল্ডিংয়ের ভুলে অবশ্য আড়াল হচ্ছে না ব্যাটিং ঘাটতি। আরও একবার নড়বড়ে অ্যাপ্রোচ, শট খেলতে না পারার আড়ষ্টতায় ভুগেছেন তারা। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ম্যাচ জেতার জন্য পর্যাপ্ত রান আনতে না পারার স্বীকারোক্তিও করলেন জাহানারা,  'হ্যাঁ অবশ্যই (রান কম হয়েছে)। তবে আমার মনে হয় ২০-২৫ রান কম করেছি আমরা। সেটা হলে হয়ত ওদের চাপে ফেলা যেত। তারপর আমরা ভালো আক্রমণ করেছিলাম, কিন্তু সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। ক্রিকেটে এরকম হয়।'

কোন ম্যাচেই শেষ পর্যন্ত লড়াই জমাতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটা পর্যায়ে ভালো অবস্থা থেকে কক্ষচ্যুত হতে হয়েছে। জাহানারা অবশ্য মনে করেন তিন ম্যাচে তারা কাছাকাছি যেতে পেরেছিলেন,  'আমরা তিনটা ম্যাচে কাছাকাছি গিয়েছিলাম। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ বাদ দিলে শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। হয়ত ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল না। পরের বিশ্বকাপে হয়ত ভাগ্য পক্ষে আসবে। আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগবে।'

২০২৪ সালে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে আগের চার বিশ্বকাপের টানা ব্যর্থতা ঘুচানোর আশা জাহানারার,  'পরের বিশ্বকাপ আমাদের দেশে হবে। আশা করছি  কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করব।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh continues to perform poorly in budget transparency

Bangladesh has continued to showcase a weak performance in the open budget rankings among its South Asian peers, reflecting a lack of transparency and accountability in the formulation and implementation of fiscal measures.

16h ago