মিরাজ খেলবেন কি-না, সিদ্ধান্ত ম্যাচ শুরুর আগে

'চোখের ডাক্তারকে আমরা জিজ্ঞাসা করেছি ও কি খেলতে পারবে কি-না। তখন ওরা বলেছে এই সিদ্ধান্তটা ঠিক খেলার আগের মুহূর্তে নেওয়া ভালো। তার মানে খেলার আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঠিক আগে আরকি।'
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দলীয় অনুশীলনে আগের দিন ফুটবল খেলতে গিয়ে চোখে চোট পেয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তখন থেকেই শঙ্কা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তার খেলা নিয়ে। শঙ্কা এখনও কাটেনি। ম্যাচ শুরুর ঠিক আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ শনিবার দুপুর ২টায় মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। ম্যাচের আগে মিরাজের সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডেইলিস্টারকে বলেন, 'অবস্থা বলতে মিরাজ খেলতে পারবেন কি-না সেটাই তো। আই স্পেশালিষ্ট বলেছিল একটা দিন অবজার্ভ করতে, একটা দিন তো হয়ে গেল। এখন আমরা পুনরায় দেখে ম্যানেজমেন্টকে জানাবো।'

মিরাজ খেলার মতো পরিস্থিতিতে আছেন কি-না জানতে চাইলে বলেন, 'মিরাজ খেলতে পারবে কি-না এটা আমি বলতে পারবো না। আমরা আমাদের কথা জানাবো ম্যানেজমেন্টকে। তবে এটা বলতে পারি সিদ্ধান্তটা একেবারে শেষ মুহূর্তে নিবে টিম ম্যানেজমেন্ট।'

'চোখের ডাক্তার যেটা বলেছে এটা দুইভাবে ম্যানেজ করা যায়। প্রথম ধাপ হলো কনজারগেটিভ ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ অপেক্ষা, রেস্ট ও ওষুধ। যেটা ওরা দিয়েছে। এটাতে না হলে তখন অন্য চিন্তা ভাবনা করা হবে। কনজারগেটিভ ম্যানেজমেন্ট চলছে এখন। আমরা জিজ্ঞাসা করেছি ও কি খেলতে পারবে কি-না। তখন ওরা বলেছে এই সিদ্ধান্তটা ঠিক খেলার আগের মুহূর্তে নেওয়া ভালো। তার মানে খেলার আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঠিক আগে আরকি,' যোগ করেন দেবাশীষ।

আগের দিন শুক্রবার সকালে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গা গরমের জন্য ফুটবল খেলার সময় বল লাগে মিরাজের চোখে। সতীর্থের বাড়ানো বল ধরতে চেয়েছিলেন মিরাজ। বিপরীত দিকে রক্ষণ সামলানোর দায়িত্বে থাকা পেসার হাসান মাহমুদ এগিয়ে গিয়ে সজোরে বল ক্লিয়ার করতে গেলে সোজা গিয়ে মুখে বল লাগে মিরাজের।

এরপরই স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় এ অলরাউন্ডারকে। করানো হয় সিটি স্ক্যান। স্ক্যান রিপোর্ট ভালো আসলেও চোখে রক্ত জমায় নেওয়া চোখের চিকিৎসকের কাছে। সেই চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলেন মিরাজকে।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

11h ago