সুদর্শনের ব্যাটে জিতল গুজরাট

মোহাম্মদ শামির তোপে ভেঙে পড়ে টপ অর্ডার। তোপ দাগান আরেক পেসার আলজেরি জোসেফও। আর ঘূর্ণির মায়াজাল বেছালেন রশিদ খান। তাতে মাঝারী পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দিল্লি ক্যাপিটালসকে। সাই সুদর্শনের ব্যাটে তা টপকে যেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি গুজরাট টাইটান্সকে। আরও একটি দারুণ জয়ে শীর্ষে উঠল দলটি।

মোহাম্মদ শামির তোপে ভেঙে পড়ে টপ অর্ডার। তোপ দাগান আরেক পেসার আলজেরি জোসেফও। আর ঘূর্ণির মায়াজাল বেছালেন রশিদ খান। তাতে মাঝারী পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দিল্লি ক্যাপিটালসকে। সাই সুদর্শনের ব্যাটে তা টপকে যেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি গুজরাট টাইটান্সকে। আরও একটি দারুণ জয়ে শীর্ষে উঠল দলটি।

দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে গুজরাট টাইটান্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬২ রান করতে সমর্থ হয় স্বাগতিকরা। জবাবে ১১ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের দুই ম্যাচেই জয় পেল তারা। অন্যদিকে নিজেদের দুই ম্যাচেই হারল দিল্লি।

লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ৩৬ রানে দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিলকে হারায় গুজরাট। স্কোরবোর্ডে আর ১৮ রান যোগ হতে ফিরে যান অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও। তবে চতুর্থ উইকেটে সুদর্শনের সঙ্গে বিজয় শংকরের ৫৩ রানের জুটিতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় চ্যাম্পিয়নরা। এরপর বিজয় আউট হলেও বাকি কাজ ডেভিড মিলারের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৫৬ রানের জুটি গড়ে শেষ করেন সুদর্শন।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন সুদর্শন। ৪৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ১৬ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩১ রান করেন মিলার। ২৯ রান আসে বিজয়ের ব্যাট থেকে। দিল্লির পক্ষে ৩৯ রানে খরচায় ২টি উইকেট পান আনরিক নরকিয়া।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৯ রানে ভাঙে দিল্লির ওপেনিং জুটি। ওপেনার পৃথ্বী শকে ফেরানোর পর স্কোরবোর্ডে ৮ রান যোগ হতে মিচেল মার্শকেও তুলে নেন শামি। তবে তৃতীয় উইকেটে সরফরাজ খানকে ৩০ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।

তবে দলীয় ৬৭ রানে টানা দুই বলে দুই শিকারে দিল্লিকে চাপে ফেলে দেন জোসেফ। ওয়ার্নারকে বোল্ড করে দেওয়ার পরের বলেই রাইলি রুশোকে পরিণত করেন রাহুল তেওয়াতিয়ার ক্যাচে। এরপর আকসার প্যাটেল ও অভিষেক পোরেল কিছুটা চেষ্টা করেন। তাতে কোনো মতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় দিল্লি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। ৩২ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ২২ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৬ রান করেন আকসার। ৩৪ বলে ৩০ রান করেন সরফরাজ। গুজরাটের পক্ষে ৩১ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান রশিদ। শামি ৩টি উইকেট নেন ৪১ রানের বিনিময়ে। জোসেফের শিকার ২টি।

Comments