আয়ারল্যান্ডকে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

Mushfiqur Rahim
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ঘরের মাঠে এই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের রেকর্ড পুঁজি গড়েছিল বাংলাদেশ। হারিয়েছিলও নিজেদের রেকর্ড গড়ে। কিন্তু ইংল্যান্ডের মাঠে সেই দলটির বিপক্ষে ভুগতে হলো টাইগার ব্যাটারদের। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে মাঝারী পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো দলটিকে।

মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৬ রান করতে সমর্থ হয় টাইগাররা।

এদিন বাংলাদেশের ইনিংস ফিফটি ছিল কেবল একটি। একটি জীবন পেয়ে তা করতে পেরেছেন মুশফিকুর রহিম। ফিফটির কাছাকাছি গিয়ে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজরা উইকেট সেট হয়ে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ফলে পুঁজি বড় হয়নি বাংলাদেশের।

এদিনের শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার লিটন দাস ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। রানের খাতা খোলার আগে নিজের প্রথম বলে আউট হন লিটন। জস লিটলের ইয়র্কারে ব্যাট নামিয়ে ডিফেন্স করতে যাওয়ার আগেই আঘাত হানে তার বুটে। এই গোল্ডেন ডাকে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দশম বারের মতো শূন্য রানে আউট হন লিটন।

তবে তামিমের শুরুটা ছিল ভালোই। দারুণ দুটি বাউন্ডারিও আসে তার ব্যাট থেকে। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৪ রানে ফিরেছেন মার্ক অ্যাডাইরের বলে। অফস্টাম্পের বেশ বাইরে থাকা বলে পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু ব্যাটের কানায় চলে যায় উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের হাতে। যদিও আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। তবে সফল রিভিউতে তাকে ফেরায় আইরিশরা।

দলীয় ১৫ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাকিব আল হাসান। ৩৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতও দেন। উইকেটে নেমেই খেলতে থাকেন টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। দারুণ কিছু শটে আদায় করে নেন বাউন্ডারিও। কিন্তু ব্যক্তিগত ২০ রানে গ্রাহাম হিউমের বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফের চাপে পড়ে যায় টাইগাররা।

সাকিবের বিদায়ের পর তরুণ তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। অসাধারণ কিছু শটে গড়েন ৫০ রানের জুটি। তবে দলীয় শতরান তুলে নেওয়ার পর কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে পুল করতে গিয়ে মার্ক অ্যাডায়ারের হাতে ধরা পড়েন মিড উইকেটে। ফিফটির সম্ভাবনা জাগানো ইনিংসটি থামে ৪৪ রানে। ৬৬ বলের ইনিংসটি সাজান ৭টি চারে।

এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি হৃদয়। স্কোরবোর্ডে আর ২০ রান যোগ করতেই ফিরে যান তিনি। গ্রাহাম হিউমের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার খেসারৎ দেন। তার ফুল লেংথ বলটি ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের হাতে। অবশ্য ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন উইকেটরক্ষক। ৩১ বলে ২৭ রান করেন এ তরুণ।

দলকে আরও একবার আশা দেখান সাত নম্বরে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। দলীয় ১৮৭ রানে মিরাজের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। জর্জ ডকরেলের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টপএজ হয়ে ধরা পড়েছেন স্টিফেন ডহেনির হাতে। ৩৪ বলে ২৭ রান করেন মিরাজ।

এক প্রান্ত আগলে এগিয়ে যেতে থাকেন মুশফিক। অবশ্য ফিরতে পারতেন ব্যক্তিগত ১৯ রানে। ক্যাম্ফারের বলে পয়েন্টে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। তবে কিছুটা নিচু হয়ে ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি হ্যারি টেক্টর। ফিফটি তুলে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। লিটলের বলে আপারকাট করতে গিয়ে ধরা পড়েন সীমানায়। ৭০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬১ রান করেন তিনি। শেষদিকে দলের পুঁজি আড়াইশর কাছাকাছি নিয়ে যান তাইজুল ও শরিফুল।   

Comments

The Daily Star  | English

Govt dissolves NBR as per IMF proposal

An ordinance published last night disbands NBR and creates two new divisions

3h ago