কখনই প্রত্যাশা করেন না, কেবল বর্তমানে থাকতে চান আফিফ

৫৩ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে আবাহনীর শিরোপা জেতায় বড় অবদান রাখা আফিফ হোসেন তখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রে। একাধিকবার দাঁড়াতে হলো গণমাধ্যমের সামনে। সমর্থকরাও তাকে পেয়ে ঘিরে ধরলেন। নির্বিকার আফিফ সবার আবদারই মিটিয়েছেন। তবে খুব কৌশলে ছোট কথায় এড়িয়ে গেছেন জাতীয় দলের প্রসঙ্গ।
গত তিন বছরে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত মুখ হয়ে গিয়েছিলেন আফিফ। মাঝে মাঝে ঝলক দেখালেও গড়পড়তা পারফর্ম করেই জায়গা থিতু ছিল তার। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কোচ হয়ে এসে তার সেই ভিত নাড়িয়ে দিয়েছেন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন বাদ দেওয়া হয় তাকে। তখন ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এক বিতর্কের খবর সামনে এসেছিল। নির্বাচকরা যদিও জানিয়েছিলেন, স্রেফ পারফরম্যান্সের কারণেই নাম কাটা পড়েছে তার।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ঠিকই দিয়েছেন নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ। আবাহনীর শিরোপা জেতার পথে রেখেছেন বড় ভূমিকা। ১৫ ম্যাচ খেলে ১৩ ইনিংস ব্যাট করে ৫৫০ রান করেছেন এই বাঁহাতি। গড় ৫৫. স্ট্রাইক রেট ১১০.৬৬ জানান দিচ্ছে তার কার্যকারিতা।
জাতীয় দলের হারানো জায়গা কি তবে ফিরে পেতে যাচ্ছেন? এই প্রশ্নে তার জবাব ছোট এবং নির্মোহ, 'আমি কখনোই প্রত্যাশা রাখি না। আমি সবসময় বর্তমানে থাকতে পছন্দ করি। এখানে (ঢাকা লিগে) খেলাগুলোতে আমি ফোকাস করেছি। সামনে যে খেলাগুলো আছে, সেগুলোয় ফোকাস করব।'
এবার আবাহনীর হয়ে চার নম্বরে খেলার সুযোগ পেয়েছেন, সফলও হয়েছেন। উপরের দিকে খেলার স্বাচ্ছন্দ্যের কথা জানিয়েছেন এদিনও। তবে জাতীয় দলে উপরের দিকে খেলার আবদার জানিয়ে কোচের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধিয়েছিলেন কিনা এই প্রশ্নে রইলেন নিরুত্তর, 'আমি এটা নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।'
এমনকি প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স তার ফেরার পথ করে দিবে কিনা তা নিয়েও ছোট্ট জবাব তার, 'সেটা তো আমার হাতে নেই।'
প্রিমিয়ার লিগ শেষে আফিফের নতুন মিশন 'এ' দল। প্রথমবারের মতো লাল বলের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে তাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ 'এ' দলের বিপক্ষে আনঅফিসিয়াল টেস্ট সিরিজে রীতিমতো অধিনায়ক তিনি। দীর্ঘ পরিসরে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েও তেমন কথা বলতে চাইলেন না তিনি, 'আমি যাই, দুই দিন পর খেলা। তখন দেখা যাবে। এত ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করি না।'
Comments