সাইফ, আফিফের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর ফলোঅনে ‘এ’ দল

সাইফ হাসান যেন নেমেছিলেন টি-টোয়েন্টি খেলতে। অধিনায়ক আফিফ হোসেনকে পাওয়া গেল ওয়ানডে মেজাজে। তবে ব্যক্তিগত কিছু দ্যুতি বাইরে তারা দলের লাভ করতে পারলেন না। সংকটে পড়া দলকে নিয়ে লড়াই করে ফিফটি পেয়েছিলেন জাকের আলি অনিকও। তবু ওয়েস্ট ইন্ডিজ 'এ' দলের বিপক্ষে ফলোঅনে পড়ল বাংলাদেশ 'এ' দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনঅফিসিয়াল টেস্টের তৃতীয় দিনে ৭ উইকেটে ৪২৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ক্যারিবিয়ানরা। জবাবে খেলতে নেমে ৬৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর সাইফ, আফিফ তোলেন ঝড়। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৬৪ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়েন তারা।
৭১ বলে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন সাইফ। ৪১ বলে ৪৫ করেন আফিফ। ১২৩ বলে জাকের ৬৪ করলেও বাকিদের ব্যর্থতায় অল্পের জন্য এড়ানো যায়নি ফলোঅন।
শেষ বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বিনা উইকেটে ৫ রান তুলেছেন সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান। আগের দুই দিনে বৃষ্টিতে বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হওয়ায় সকালে ইনিংস ছেড়ে দেয় সফরকারীর। ব্যাটিংয়ে নেমে দলের ২১ রানে মাত্র ২ রান করে ফিরে যান সাদমান।
জাকির থিতু হয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংস টানতে পারেননি। ৫৫ বলে তিনি ফেরেন আকিম জর্ডানের বলে। চারে নামা মাহমুদুল হাসান জয়ও ব্যর্থ। ফেরেন কেবল ২ রান করে।
তিনে নেমে আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকেন সাইফ। চার-ছক্কার দ্যুতিতে ৩৫ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। টি-টোয়েন্টির ধরণে খেলে তিন অঙ্কের দিকেও ছুটছিলেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাক অ্যালিস্টারের বলে ৯৫ রানে শেষ হয়েছে তার ইনিংস। ৭১ বলের উপস্থিতিতে ১৪ চার আর ২ ছক্কা মেরেছেন তিনি।
এই ইনিংসের পথে আফিফের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১০৪ রান আনেন তিনি। ফিফটির দিকে থাকা আফিফ রেমন রেইফারের পেসে ফ্লিক খেলতে গিয়ে আউট সাইড এজড হয়ে ক্যাচ দেন ৪৫ রান করে।
এই দুজনের বিদায়ের পর একা এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে টেনেছেন জাকের। কিপার ব্যাটার চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায় ৬৪ করলেও টেল এন্ডাররা কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি তাকে।
Comments