অজি পেসারদের দাপটে চাপে ভারত

ট্রাভিস হেড ও স্টিম স্মিথের ব্যাটে ওভাল টেস্টর নিয়ন্ত্রণ প্রথম দিনেই নিয়েছিল তারা। এ দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে বড় পুঁজিই পায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর পেসারদের তোপে দ্বিতীয় দিনের নিয়ন্ত্রণও ধরে রেখেছে অজিরা। ফলোঅনের শঙ্কায় পড়েছে ভারত।

বৃহস্পতিবার ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ৩১৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে রোহিত শর্মার দল। ১৫১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তারা। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৬৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।

তবে দিনের শুরুটা ভালোই ছিল ভারতের। প্রথম সেশনে অজিদের ৪টি উইকেট তুলে নিতে পারে তারা। সবচেয়ে বড় কথা ফেরানো যায় দুই সেট ব্যাটারকেই। হেডকে উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরতের ক্যাচে পরিণত করে জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ সিরাজ। স্মিথের সঙ্গে ২৮৫ রানের জুটি গড়েন হেড। যা ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ সর্বোচ্চ। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ১৭৪ বলে ১৬৩ রান করেন হেড।

ক্যামেরুন গ্রিনকে সেট হওয়ার আগেই ছাঁটাই করেন মোহাম্মদ শামি। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে স্মিথকেও হারায় অজিরা। শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হয়ে যান স্মিথ। তবে এর আগে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩১তম সেঞ্চুরি। আগের দিনই ৯৫ রান তুলে নেওয়া এ ব্যাটার ২৬৮ বলে খেলেন ১২১ রানের ইনিংস। ইংল্যান্ডের মাটিতে এটি তার সপ্তম সেঞ্চুরি, ভারতের বিপক্ষে নবম।

স্মিথকে হারানোর পর অতিরিক্ত ফিল্ডার আকসার প্যাটেলের দারুণ এক থ্রোতে রানআউট হন মিচেল স্টার্ক। তিন উইকেটে ৩২৭ রান নিয়ে ব্যাটিং নামে অস্ট্রেলিয়া দলীয় ৪০২ রানে হারিয়ে ফেলে সাত উইকেট। তবে লাঞ্চের পর অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন অ্যালেক্স ক্যারি। তাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভাঙেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৪৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর ১ রানের ব্যবধানে শেষ দুটি উইকেট তুলে নেন সিরাজ। শেষ পর্যন্ত ১০৮ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান এই পেসার। দুটি করে শিকার শার্দুল ও শামির।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা আক্রমণাত্মক ঢঙেই শুরু করে ভারত। চার ওভারে ২৪ রান তোলে তারা। তবে এরপর আর ৬ রান যোগ করার পর দুই ওপেনারকেই হারায় তারা। অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন অজি অধিনায়ক কামিন্স। আর স্কট বোলান্ডের বলে অফস্টাম্প নিরাপদ ভেবে ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হয়ে যান শুভমান গিল।

স্কোরবোর্ডে আর ২০ রান যোগ হতে চেতশ্বর পুজারাও আউট হন গিলের মতো বল ছেড়ে দিয়ে। পার্থক্য কেবল তার উইকেট তুলে নেন গ্রিন।

হতাশ করেন বিরাট কোহলিও। স্টার্কের বাড়তি বাউন্সের বলে কানায় লাগলে ক্যাচ চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো স্মিথের হাতে। এরপর উইকেটে নেমে কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পাল্টা আক্রমণ করার চেষ্টা করেন জাদেজা। ৫১ বলে ৪৮ রানও করেন। তবে আজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়ে নাথান লাওনের শিকার হন তিনি। রাহানে অবশ্য এক প্রান্ত ধরে রেখেছেন। ২৯ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। তার সঙ্গী ভরত ব্যাট করছেন ৫ রানে।

Comments