৪০ ওভারও টিকতে পারল না আফগানরা, ফলোঅন করালো না বাংলাদেশ
চা-বিরতির আগে ৮ উইকেট হারিয়ে একদম শেষের পথে চলে গিয়েছিল আফগানিস্তান। চা-বিরতির পর আর কেবল ১২ বল টিকতে পারল তারা। তবে আফগানিস্তানকে দেড়শোর আগে গুটিয়ে দিয়েও ফলোঅন করালো না বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পেসাদের তোপ আর স্পিনারদের ঝলকে ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে ২৩৬ রানে পিছিয়ে ফলোঅনে পড়ে তারা। তবে প্রতিপক্ষকে ফলোঅন না করিয়ে নিজেরাই আবার ব্যাট করতে নেমেছে স্বাগতিকরা।
চা-বিরতি থেকে ফিরে চতুর্থ বলেই নিজাত মাসুদকে সিলি মিড অফে ক্যাচ বানিয়ে নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরেন তাইজুল ইসলাম। পরের ওভারে করিম জানাতকে স্টাম্পিং করে ইনিংস মুড়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টেস্ট মিরাজ স্পর্শ করেন দেড়শো উইকেটের মাইলফলক।
বাংলাদেশের সেরা বোলার ইবাদত হোসেন। ডানহাতি পেসার ১০ ওভার বল করে ৪৭ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট। তাইজুল আর মিরাজের মতো শরিফুল ইসলামও নিয়েছেন ২টি উইকেট।
সকালে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আফগান দুই পেসার নিজাত মাসুদ আর ইয়ামিন আহমেদজাইর তোপে ৪৪ মিনিটের মধ্যে আর ২০ রান যোগ হয়েই ইনিংস থেমে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশনের বাকি ১০.৪ ওভারের মধ্যে ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা। উইকেট পড়তে পারত আরও বেশি। স্লিপ ফিল্ডারদের আশপাশ দিয়ে যায় অনেকগুলো বল, ক্যাচ ও রান আউটের সুযোগও হয় হাতছাড়া। ইবাদত আর শরিফুল মিলে তবু স্বস্তি দেননি সফরকারীদের।
লাঞ্চের পর নেমেই শরিফুল নেন আরেক উইকেট। এরপর নিজাত আর আফসার জাজাই মিলে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। তাইজুল এসে জুটি ভাঙতেই ফের হুড়মুড় করে ধসে যায় তারা। ইবাদত পর পর নেন আরও দুইকেট, মিরাজও সামিল হন তাতে। দুই সেশনেরও কম সময়ে মাত্র ৩৯ ওভার খেলতে পারে আফগানিস্তান।
বোলারদের জন্য রসদে ভরা উইকেটে বিশাল লিড নিয়ে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন লিটন দাসের দলের হাতে।
Comments