'খেলোয়াড়দের বুঝতে হবে এটা প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতা নয়, ভালোবাসা'

প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসাকে সম্মান করে খেলোয়াড়দের নিজেদের কাজটা ঠিক করে করার অনুরোধ করলেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
সস্ত্রীক তামিম ইকবাল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের খেলাধুলা, বিশেষকরে ক্রিকেটের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরাগের কথা জানেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে কমই। তাই হাজারো কাজের মাঝেও খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত অনেক সমস্যার সমাধান করেন তিনি। আগের দিন তার অনুরোধেই ফের ক্রিকেটে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। প্রধানমন্ত্রীর এই ভালোবাসাকে সম্মান করে নিজেদের কাজটা ঠিক করে করার অনুরোধ করলেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

অবসর ঘোষণা করে অনেকটা আড়ালেই চলে গিয়েছিলেন তামিম। সবাইকে অনুরোধও করেছিলেন এই নিয়ে নতুন করে আর কিছু না করতে। কিন্তু তার অনুরোধের পরও থেমে থাকেনি। স্বয়ং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকে নিয়ে নির্দেশ দেন অবসর ভাঙে ফিরে আসার। আর তার নির্দেশ ফেলতে পারেননি তামিম। এরপরই খেলোয়াড়দের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দেন নড়াইল এক্সপ্রেস।

সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের উদাহরণ টেনে মাশরাফি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে লিখেছেন, 'সাকিবের ডেঙ্গু হলে, তিনি হাসপাতালে গিয়ে হাজির। মুশফিকের ব্যক্তিগত কথা বলতে হবে, তিনি বললেন, "চলে আসো গণভবনে।" তামিম হুট করে অবসরে, তিনি ডেকে নিয়ে সমাধান করে দিলেন। এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে একজন নেতার, যিনি দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে খেলাধুলা, সবকিছুর খেয়াল রাখেন।'

খেলোয়াড়দের ভালোবেসে এই কাজগুলো করেন বলে জানান এই পেসার। এবার নিজের কাজ ঠিকঠাকভাবে করে অর্থাৎ ভালো খেলা উপহার দিয়ে এই সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি, 'প্রিয় খেলোয়াড় ভাইরা, এটা আপনাদের বুঝতে হবে যে, এসব তার দুর্বলতা নয়, বরং তার ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা থেকেই তিনি আপনাদেরকে সম্মান করেন। আপনাদেরও উচিত ভালোবাসা দিয়েই সেই সম্মানটা ফিরিয়ে দেওয়া, অর্থাৎ নিজের কাজটা ঠিকভাবে করা, পুরো মনোযোগ দিয়ে খেলা ও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।'

আর খেলোয়াড়রা এটা করতেন পারবেন বলেই বিশ্বাস করেন মাশরাফি, 'দেশের কোটি কোটি ক্রিকেট ভক্ত তাকিয়ে আপনাদের দিকে, কারণ আপনারাই পারেন দেশ ও দেশের মানুষকে আনন্দের জোয়ারে ভাসাতে। কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধের পরও একটু আশা নিয়ে কখনও গ্যালারিতে, কখনও টেলিভিশনের সামনে বসে আপনাদের দেখতে, স্রেফ আপনাদের ভালোবেসে আর আপনাদের কাছ থেকে একটু আনন্দ পাওয়ার আশায়। আপনাদের জয় দেখে এই মানুষগুলো ভাবে, তারা নিজেরাই জিতেছে। এই আনন্দ, এই সুখ পৃথিবীর কোনো কিছুতেই আসবে না। আপনারা জিতবেন, আমরাও জিতব, এই আশাতেই আছি আমরা।'

Comments

The Daily Star  | English

How Hasina’s flight was kept off radar

When the air force transporter plane carrying Sheikh Hasina left Dhaka on August 5, it took off as a training flight and turned off its transponders to blur its flightpath and location..The transponders, which transmit location, heading

5h ago