হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে কেমন একাদশ নামাবে বাংলাদেশ?
২০১৪ সালের পর ঘরের মাঠে এই অভিজ্ঞতা একদম অচেনা বাংলাদেশের। সেবার মিরপুরে শ্রীলঙ্কার কাছে ওয়ানডে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর আর কোন প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে দিতে পারেনি তেমন অভিজ্ঞতা। এই সময়ে নিজ দেশে কেবল ইংল্যান্ডের কাছেই দুই দফা সিরিজ হারের অভিজ্ঞতা আছে। এবার আফগানিস্তান বাংলাদেশের সেই গর্বের জায়গায় লেগেছে চোট, শেষ ম্যাচে ঘুরে না দাঁড়ালে সেই চোট আরও বাড়তে পারে।
আফগানদের বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল নাজুক। বিশেষ করে আফগান স্পিনারদের বিপক্ষে বিস্তর ভোগান্তিতে পড়েন স্বাগতিক ব্যাটাররা।
মঙ্গলবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেও চাইবে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের কাছে যেকোন সংস্করণে হারই মেনে নিতে কষ্ট হয় সমর্থকদের। এরমধ্যে সিরিজে ধোবলধোলাই হলে তো কথাই নেই।
শেষ ওয়ানডের আগের দুদিন বাংলাদেশ পার করেছে বিশ্রামে। শনিবার দ্বিতীয় ওয়ানডের পর রোববার এমনিতেই বিশ্রাম ছিল, সোমবার লিটন দাসরা শুয়েবসে দিন পার করেছেন অনেকটা বাধ্য হয়ে। সকালের নির্ধারিত অনুশীলন সেশন যে ভাসিয়ে নেয় বৃষ্টি।
শেষ ওয়ানডের একাদশে একটা বদল অবধারিতই। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হাঁটুতে চোট পেয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন ইবাদত হোসেন। তার জায়গায় এক ম্যাচের বিশ্রাম পার করে একাদশে ফিরবেন তাসকিন আহমেদ।
এই সিরিজে আগে নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানিয়েছিলেন, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব পেসারদের খেলানোর নীতি নিয়েছেন তারা। তারই অংশ হিসেবে ম্যাচ পাচ্ছেন শরিফুল ইসলাম। মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হতে পারে শরিফুলকে।
বাকি আর কোন জায়গাতে বদলের সম্ভাবনা তেমন নেই। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নেমে ওপেনার নাঈম শেখ ব্যর্থ হলেও আরেকটি সুযোগ তিনি পেতেই পারেন। সাতে আফিফ হোসেনকে সুযোগ দিয়েও লাভ হয়নি। দুই ম্যাচেই তিনি ব্যর্থ। তবে স্কোয়াডে বাড়তি ব্যাটার না থাকায় তিনি টিকে যাচ্ছেন বলেই খবর।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: লিটন দাস, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
Comments