বড় বিপদে আফগানিস্তান
দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দেন শরিফুল ইসলাম। তার সঙ্গে জ্বলে উঠেছেন দলের বাকি বোলাররাও। তাতে বড় বিপদে পড়েছে আফগানিস্তান দল। কোনোমতে পঞ্চাশ পার হতেই লেজ বেরিয়ে যায় দলটির। একশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে তারা।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৮ ওভারে ৭ উইকেটে ৭১ রান করেছে আফগানিস্তান। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১৯ ও জিয়া-উর-রহমান ১ রানে ব্যাটিং করছেন।
মূলত শরিফুলের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে পাওয়ার প্লের আগেই আফগানদের চার উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। যার তিনটি উইকেটই শিকার করেন শরিফুল। এরপর বল হাতে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে আবারও আঘাত হানেন এই পেসার। আব্দুল রহমানকে তাইজুল ইসলামের ক্যাচে পরিণত করে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন শরিফুল।
এদিন ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। শরিফুলের অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইব্রাহীম জাদরান। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া এ ব্যাটার এদিন ৬ বলে করেন ১ রান।
সে ওভারে রহমত শাহকেও তুলে নেন এই পেসার। জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গেলে ব্যাটার কানায় লেগে চলে যায় মুশফিকের গ্লাভসে। এর ঠিক আগের বলেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তবে অল্পের জন্য নাগাল পাননি মেহেদী হাসান মিরাজ। চার বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি রহমত।
ষষ্ঠ ওভারে সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফেরান তাসকিন। তার বাউন্সারে পুল করতে গিয়েছিলেন আগের ম্যাচেই দারুণ এক সেঞ্চুরি তোলা এই ব্যাটার। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকঠাক সংযোগ না হলে কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। অবশ্য লাফিয়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন মুশফিক। ২২ বলে ৬ রান করেন গুরবাজ।
এরপর নবম ওভারে নবিকে মোহাম্মদ নবিকেও তুলে নেন শরিফুল। তাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন পেসার। রিভিউ নিয়েছিলেন নবি। তবে লাভ হয়নি। ৯ বলে ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ফলে ১৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে আফগানিস্তান।
১৫ রানের চার উইকেট হারানোর পর নজিবউল্লাহ জাদরানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদি। তবে নজিবউল্লাহকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে বেশি দূর আগাতে দেননি সাকিব আল হাসান। ১৭ রানেই ভাঙে তাদের প্রতিরোধ। এরপর ওমরজাইয়ের সঙ্গে ২১ রানের জুটি গড়ে তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে যান অধিনায়ক।
Comments