শ্রীলঙ্কায় হেরে গেলেন সৌম্য-নাঈম-সাইফরা

লক্ষ্যটা ছিল বিশাল। সাড়ে তিনশ রানের। সেই লক্ষ্য তাড়ায় আড়াইশর আগেই সাজঘরে আট ব্যাটার। এরপর কিছুটা লড়াই করেন রাকিবুল হাসান। তাতে হারের ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। শক্তিশালী দল নিয়েও শ্রীলঙ্কার কাছে হারল তারা।

লক্ষ্যটা ছিল বিশাল। সাড়ে তিনশ রানের। সেই লক্ষ্য তাড়ায় আড়াইশর আগেই সাজঘরে আট ব্যাটার। এরপর কিছুটা লড়াই করেন রাকিবুল হাসান। তাতে হারের ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। শক্তিশালী দল নিয়েও শ্রীলঙ্কার কাছে হারল তারা।

বৃহস্পতিবার কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে ইমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে ৪৮ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৪৯ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৪৮.৩ ওভারে ৩০১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

তবে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা খারাপ করেনি বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসানের ওপেনিং জুটিতে আসে ৬৯ রান। কিন্তু নাঈমের বিদায়ে জুটি ভাঙলে ৫ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন তানজিদও। এই ধারা থেকেছে শেষ পর্যন্ত। যখনই কোনো জুটি হয়েছে, সেই জুটি ভাঙলে তার পার্টনার কিংবা নতুন ব্যাটার ফিরেছেন। ফলে চাপ উতরে উঠতে না উঠতেই ফের চাপে পড়েছে দলটি।

তৃতীয় উইকেটে জাকির হাসানের সঙ্গে অধিনায়ক সাইফ হাসানের ৭৮ রানের জুটি। কিন্তু ১০ রানের ব্যবধানে ফিরে যান এ দুই ব্যাটার। এরপর মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে দলের হাল ধরার চেষ্টা চালান সৌম্য সরকার। কিন্তু দলীয় ১৯১ রানে জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। জয় আউট হওয়ার ঠিক পরের বলেই ফিরে যান আকবর আলীও।

জোড়া ধাক্কার পর শেখ মেহেদী হাসানের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটিতে সে চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন সৌম্য। কিন্তু ফের ১০ রানের ব্যবধানে ফিরে যান এ দুই সেট ব্যাটার। এরপর রিপন মণ্ডলকে নিয়ে রাকিবুল হাসানের লড়াই। নবম উইকেটে তাদের জুটিতে আসে ৫২ রান। কিন্তু রাকিব আউট হওয়ার এক বল পড়েই শেষ মুশফিক হাসান। ফলে হারতেই হয় বাংলাদেশকে।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক সাইফ। ৪৬ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৩৯ বলে ১১টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন তানজিদ। এছাড়া সৌম্য ৪৬ ও রাকিবুল ৪০ রান করেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে প্রামদ মাদুশান ও হেমন্ত ৩টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে শ্রীলঙ্কা। মূলত এক প্রান্ত আগলে রেখে লঙ্কানদের ইনিংসের ভিত গড়ে দেন আভিস্কা। লাসিথ ক্রুসপুল্লের সঙ্গে গড়েন ৫১ রানের ওপেনিং জুটি। এ লাসিথের বিদায়ে এ জুটি ভাঙলে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মিনদ ভানুকার সঙ্গে ১২৫ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন এই ওপেনার। এরপর অবশ্য ৬ রানের ব্যবধানে ২টি উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ।

তবে চতুর্থ উইকেটে পাসিন্দু সুরিয়াবান্দারার সঙ্গে আভিস্কার ৭৫ রানের আরও একটি জুটিতে বড় পুঁজির ভিত পেয়ে যায় লঙ্কানরা। সেই ভিতে ইমারত তৈরি করেন আসেন বান্দারার ও অধিনায়ক দুনিথ ওয়ালালাগে। ষষ্ঠ উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতে সাড়ে তিনশ ছুঁইছুঁই স্কোর পায় স্বাগতিক দলটি।

লঙ্কানদের পক্ষে সেঞ্চুরি তুলে সর্বোচ্চ ১৩৩ রানের ইনিংস খেলেন আভিস্কা। ১২৪ বলে ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এই ওপেনার। ৫৫ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৭ রান করেন ভানুকা। এছাড়া সুরিয়াবান্দারা ৪৩, আসেন বান্দারা ৩৫ এবং লাসিথ ও ওয়ালালাগে ৩১ রান করে করেন। বাংলাদেশের পক্ষে ৫২ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান সৌম্য সরকার। ৭২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান রিপন মণ্ডলও।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago