'ব্যাটে বল না লাগলেও দৌড়াবি' -শরিফুলকে বলেছিলেন হৃদয়

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সেই বয়সভিত্তিক দল থেকে দুইজনের বন্ধুত্ব। তাই শরিফুল ইসলাম সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন তাওহিদ হৃদয়। প্রয়োজনের সময়ে এই পেসারের ব্যাট থেকেও যে বড় বড় ছক্কা আসে তা জানা রয়েছে তার। কিন্তু তারপরও বল ব্যাটে না লাগলে কোনো কিছু না ভেবে প্রান্ত বদল করার কথাই শরিফুলকে বলেছিলেন হৃদয়।

শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানদের বিপক্ষে জয়ের মূল নায়ক হৃদয় হলেও শেষে নায়ক শরিফুল। শেষ দুই বলে যখন দুই রানের প্রয়োজন তখন চার মেরে সব সমীকরণ মিলিয়ে দেন এই পেসার। কিন্তু সেই বলে ব্যাটে করতে না পারলে বড় বিপদে পড়তে পারতো বাংলাদেশ।

তবে নেতিবাচক কিছু ভাবনাতেও আনেননি হৃদয়। সতীর্থের উপর পূর্ণ ভরসা ছিল তার, 'আমার বিশ্বাস ছিল সবার ওপরে। কারণ, তাসকিন ভাই, নাসুম ভাই, এমনকি শরিফুল, সবাই খুব ভালো ব্যাটিং করে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচে তাসকিন ভাই পরপর দুটি চার মারার পর আমরা ম্যাচ জিতে গেছি।'

'শরিফুলের ওপর বিশ্বাস আমার ছিল আগে থেকেই, কারণ ওর সম্ভাবনা আমি জানি। আমরা একসঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে খেলছি এবং সে বড় বড় ছয় মারতে পারে। শরিফুল আসা পর্যন্ত আমার তাই বিশ্বাস ছিল। শরিফুলকে একটা কথাই বলেছিলাম, "ব্যাটে বল না লাগলেও দৌড়াবি।" পরে শেষদিকে বলেছি, "ম্যাচটি তুই-ই জেতাবি।",' সংবাদ সম্মেলনে বলেন হৃদয়।

অথচ এদিন সহজ জয়ই পাওয়ার পথে ছিল বাংলাদেশ। শেষ ওভারে যখন ছয় রানের প্রয়োজন তখন বাউন্ডারি মেরে সমীকরণ সহজ করে দেন মিরাজ। কিন্তু পরের বলে তার আউটের পর বিদায় নেন তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদও। অপর প্রান্তে তখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাদের আসা যাওয়া দেখছিলেন হৃদয়।

তবে বিশ্বাসটা ধরে রেখেছিলেন এ ব্যাটার, 'আমি নরম্যাল ছিলাম। কারণ জানতাম, ২ রান লাগে মাত্র। একটা বলের ব্যাপার। বল ব্যাটে লাগলেই ১-২ রান হয়ে যাবে। সেই সময়টায় শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। যেহেতু নন স্ট্রাইকে ছিলাম, চেষ্টা করেছি আমার পার্টনারদের যতটুকু ইনফরমেশন দেওয়া যায় যে বোলার কী বল করতে পারে। এটুকুই।'

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

5h ago