ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিতে বাংলাদেশ

মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরির সঙ্গে জাকির হাসান, সৌম্য সরকার ও শেখ মেহেদী হাসানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় পুঁজিই পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে ভালো লড়াই করেছিল আফগানিস্তান। পরে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ দিকে আর পেরে ওঠেনি তারা। স্বস্তির জয়ে সেমি-ফাইনালের টিকিট কেটেছে বাংলাদেশ।

কলম্বোর পি সারা ওভালে মঙ্গলবার ইমার্জিং এশিয়া কাপের 'এ' গ্রুপের ম্যাচে আফগানিস্তান ইমার্জিং দলকে ২১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান করে তারা। জবাবে ৮ উইকেটে ২৮৭ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানরা।

তবে লক্ষ্য তাড়ায় এক পর্যায়ে ভীতি ছড়িয়েছিল আফগানিস্তান। ৩ উইকেটে ২১৮ রান তুলে ফেলেছিল দলটি। দলীয় ২৬ রানে জুবাইদ আকবরিকে হারালেও নুর আলী জাদরানের সঙ্গে রিয়াজ হাসানের ৯০ রানের জুটি গড়ে তারা। এ জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। ফেরান নুর আলীকে। ৩২ রানের ব্যবধানে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা রিয়াজকে ফেরান সৌম্য।

তবে অধিনায়ক শহিদুল্লাহর সঙ্গে বাহির শাহর ৭০ রানের জুটি ফের প্রতিরোধ গড়ে আফগানিস্তান। আফগান অধিনায়ককে বোল্ড করে দিয়ে জুটি ভাঙেন রাকিবুল হাসান। এরপর আর তেমন লড়াই করতে পারেনি আফগানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন রিয়াজ। ১০৫ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৫০ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন বাহির শাহ। নুর আলী ও শহিদুল্লাহ দুইজনই করেন ৪৪ রান করে। বাংলাদেশের পক্ষে ৬৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান সাকিব। এছাড়া রাকিবুল ও সৌম্য ২টি করে উইকেট পান।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ সেলিমের তোপে দলীয় ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচে ভালো করলেও এদিন ব্যর্থ হন তানজিদ হাসান। ব্যক্তিগত ৯ রানে সেলিমের শিকার হন এ ওপেনার। ব্যর্থ হয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখও। ১৯ বলে ১৮ রান করে সেলিমের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। আর অধিনায়ক সাইফ হাসান পড়েন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। ফলে বড় চাপেই পড়ে যায় বাংলাদেশ।

এরপর জাকির হোসেনকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন মাহমুদুল হাসান জয়। চতুর্থ উইকেটে ১১৭ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। প্রথমে দেখে শুনে খেললেও সময় গড়ানোর সঙ্গে আগ্রাসী হতে শুরু করেন তারা। এ জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার ইজহারুল হক নাভিদ। তাকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন জাকির। ৭২ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তিনি।

জাকিরের বিদায়ের পর উইকেটে নামেন সৌম্য সরকার। শুরু থেকেই আক্রমণ করার চেষ্টা চালান এই ব্যাটার। ফলে রানের গতি বাড়তে থাকে দ্রুত। ফিফটির পথেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ইব্রাহিমের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য। পঞ্চম উইকেটে ৭৯ রানের জুটিতে ৪৮ রানই করেন তিনি।

এরপর দ্রুত বিদায় নেন আকবর আলি। তবে এক প্রান্তে আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন জয়। ছক্কা মেরে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। ১১৪ বলের ইনিংস থেমেছে খানিক পরই। ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ঠিক ১০০ রান তুলে মোহাম্মদ সেলিমের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন তিনি।

এরপর উইকেটে নেমে দারুণ ক্যামিও খেলেন শেখ মেহেদী হাসান। ১৯ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৩৬ রান। ১২ বলে ১৫ রান করেন রাকিবুল হাসান। অষ্টম উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ৪১ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago