হৃদয়ের ভয়ডরহীন থাকার মন্ত্র
তাওহিদ হৃদয় যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের গুমোট পরিবেশ সরিয়ে দেওয়া এক সতেজ হাওয়া। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মিডল অর্ডার সংকটের দারুণ সমাধান হয়ে আসা এই তরুণ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দেখান ঝলক, বার্তা দেন উজ্জ্বল আগামীর। ২২ পেরুনো হৃদয়ের সাফল্যের মন্ত্র ভয়ডরহীন থাকা, ব্যর্থতার ভয়ে কুঁকড়ে না থেকে সামনে ছুটে যাওয়া।
গত শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কঠিন পরিস্থিতিতে চওড়া হয়ে উঠে হৃদয়ের ব্যাট। ১৫৫ রান তাড়ায় ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর হৃদয় ঝলমলে ইনিংসে দলকে পাইয়ে দেন জয়। ৩২ বলে খেলেন ম্যাচ জেতানো ৪৭ রানের ইনিংস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন হৃদয়। এবার আফগান সিরিজ শেষে ছুটিতে যাওয়ার আগে দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এই তরুণ জানান তার ক্রিকেটীয় দর্শন, 'আপনার পেশায় বা আমাদের পেশায় জীবনে চলার পথে আপনি যখনই ভয় পাবেন, ফল ভালো আসবে না। ভালো হচ্ছে নিজের ভেতরে ভয় না রাখা। কি এমন আর হবে? হয়ত আমি খারাপ খেলব, দল হেরে যাবে। হয়ত দল থেকে বাদ পড়ব। এছাড়া আর কি হবে?'
'কাজেই ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি এটা ভয়ের খেলা না। আপনাকে মন পরিস্কার রাখতে হবে। ভেতরে সাহস দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।'
গত বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নতুন করে সবার নজরে আসেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার। ঘরোয়া ক্রিকেটের সাফল্যে তার ঠিকানা হয় জাতীয় দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ ইনিংস ব্যাট করে খেলার ধরণে নিজেকে আলাদা করে চেনান তিনি। বিশেষ করে ব্যাট স্যুয়িং চেনান সামর্থ্য। তার মতে ব্যাট স্যুয়িংটা তার সহজাতভাবেই আসে।
পুল শটের বেলায় ব্যাট স্যুয়িং আলাদা চোখে পড়লেও কেবল লেগ সাইডে নয়, অফ সাইডেও যে তিনি সমান পারঙ্গম সেটা জানালেন দৃঢ়তার সঙ্গে, 'অনেকেই বলেন যে আমি এক দিক থেকে মারি কিন্তু এরকম না আসলে। আমি কাভার দিয়েই খেলি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মিড অফ দিয়েও মেরেছি। এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। লেগ সাইডে বল পেলে কি আমি মারব না?'
আফগানদের বিপক্ষে কঠিন পরিস্থিতিতে রান তাড়া তার বিশ্বাসের জগত করেছে আরও শক্ত, 'টি-টোয়েন্টিতে প্রতি মুহুর্তে পরিস্থিতি বদলে যায়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রয়োগ করা। আমার মনে হয় যেকোনো ব্যাটারেরই এমন রান তাড়া আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এরকম পরিস্থিতি সব সময় আসে না। আমি চাই সবাই এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাক তাহলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।'
Comments