ক্রলির আগ্রাসী সেঞ্চুরি, ‘বাজবল’ ঘরানায় ইংল্যান্ডের দাপট
পোশাক না হলে ঠাহর করা মুশকিলই হতো, খেলাটা টেস্টই তো? অবশ্য ইংল্যান্ডের এই সময়ের টেস্ট ব্যাটিংয়ের ধরণই এমন। আগ্রাসী অ্যাপ্রোচে প্রথম দুই টেস্ট হেরেও পরিকল্পনা থেকে সরে না যাওয়ার ফল মিলছে। লিডসে দারুণ জয়ের পর ওল্ড ট্রাফোর্ডেও দাপট দেখাচ্ছে বেন স্টোকসের দল। জ্যাক ক্রলি আর জো রুটের ব্যাটে ওভারপ্রতি ৫.৩৩ রান করে তুলে লিড নিয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
বৃহস্পতিবার চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অজিদের ৩১৭ রানে আটকে ৪ উইকেটে ৩৮৪ রান তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড, এগিয়ে গেছে ৬৭ রানে।
দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডের নায়ক ওপেনার ক্রলি। ১৮২ বলে ২১ চার, ৩ ছক্কায় ১৮৯ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৮৬ বলে ২০৬ রানের জুটি গড়া জো রুট করেন ৯৫ বলে ৮৪ রান। হ্যারি ব্রুক ১৪ আর স্টোকস ২৪ রান নিয়ে শুরু করবেন তৃতীয় দিন।
আগের দিনের ৮ উইকেটে ২৯৯ রান নিয়ে নেমে আর খুব বেশি এগুতে পারেনি অজিরা। প্যাট কামিন্সকে আউট করে নবম উইকেট তুলেন জেমস অ্যান্ডারসন। জশ হ্যাজেলউডকে ছেঁটে অ্যাশেজে প্রথমবার পাঁচ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস মুড়ে দেন ক্রিস ওকস।
জবাব দিতে নেমে তৃতীয় ওভারেই বেন ডাকেটের উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। মিচেল স্টার্কের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার।
দ্বিতীয় উইকেটেই মঈন আলির সঙ্গে জমে যায় ক্রলির জুটি। শুরু থেকেই দ্রুত রান বাড়ানোর তাগিদ দেখা যায় ক্রলির ভেতর। মঈনের সঙ্গে ১৫২ বলে ১২১ রানের জুটিতে ৭০ বলে ৬২ রানই তার।
মঈন ফেরার পর রুটকে নিয়ে আরও চওড়া হয়ে উঠে ক্রলির ব্যাট। সারাক্ষণই ক্রিজে তৎপর দেখা যায় তাদের। স্কোরিং শটের পসরা মেলে দুজনে রান আনতে থাকেন দুর্বার গতিতে। দ্বিতীয় সেশনে ২৫ ওভারে ওভারপ্রতি ৭.১২ করে ১৭৮ রান যোগ করে ফেলেন তারা।
চোখ ধাঁধানো ইনিংসের পূর্ণতা ডাবল সেঞ্চুরিতে দেওয়ার কাছে চলে গিয়েছিলেন ক্রলি। ক্যামেরন গ্রিনের হালকা নিচু বলে বোল্ড হয়ে থামতে হয় তাকে। খানিক পর হ্যাজেলউডের আচমকা নিচু বলে বোল্ড হয়ে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন রুট। তবে ব্রুক-স্টোকস মিলে অবিচ্ছিন্ন ৩৩ রানের জুটিতে ইংল্যান্ডের দাপটকেই জারি রেখেছেন।
Comments