গত পাঁচ বছরে মাত্র তিনবার সাতে ব্যাট করেছেন মাহমুদউল্লাহ

এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের বিবেচনায় কদিন ধরে আলোচনায় আসছে গত তিন সিরিজে দলে না থাকা মাহমুদউল্লাহর নাম। ওয়ানডের চুক্তিতে থাকা এই ক্রিকেটার সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিসিবির ফিটনেস ক্যাম্পে আছেন। স্কিল ক্যাম্পে তিনি থাকবেন কিনা তা অবশ্য নির্বাচকদের বিষয়।
যেভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে
ছবি: স্টার

ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরুই করেছিলেন সাত নম্বরে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে এরপর এই পজিশনে দেখা গেছে আরও অনেকবার। তবে গত পাঁচ বছরে বদলে ফেলেছিলেন ভূমিকা। এই সময়ে অভিজ্ঞ ব্যাটারকে সাতে দেখা গেছে কেবল তিনবার।

এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের বিবেচনায় কদিন ধরে আলোচনায় আসছে গত তিন সিরিজে দলে না থাকা মাহমুদউল্লাহর নাম। ওয়ানডের চুক্তিতে থাকা এই ক্রিকেটার সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিসিবির ফিটনেস ক্যাম্পে আছেন। স্কিল ক্যাম্পে তিনি থাকবেন কিনা তা অবশ্য নির্বাচকদের বিষয়।

যে পজিশনের জন্য আলোচনা সেই পজিশনে মাহমুদউল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে একদমই নিয়মিত নন। ২১৮ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৭১ ইনিংস সাতে ব্যাট করছেন তিনি। তাতে ৩৪.৭১ গড় আর ৭৭.২৯ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১ হাজার ৫৯৭ রান।

তবে গত পাঁচ বছরে চিত্রটা একদম ভিন্ন। এই সময়ে মাত্র তিনবার সাতে ব্যাট করেছেন তিনি। তাতে মোট ১১৩ রান করেছেন। অর্থাৎ সাতে ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি খেললেও এই ভূমিকা গত পাঁচ বছরে ছিল না তার। বরং এই সময়ে ছয়েই বেশি খেলতে দেখা গেছে তাকে।

সাতে যেখানে গত পাঁচ বছরে ৩ বার খেলেছেন, ছয়ে খেলেছেন ৩৭ বার। ৩৫.০৬ গড় আর ৭৪.৭৬ স্ট্রাইকরেটে তার ব্যাট থেকে আসে ১ হাজার ৫২।

ইংল্যান্ড সিরিজে খারাপ করার পর মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেওয়া হয়। যদিও নির্বাচকরা তার বেলায় গালভরা 'বিশ্রাম' শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরে-বাইরে দুই সিরিজের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সুযোগ মেলেনি তার।

মাহমুদউল্লাহর বদলে ছয়ে নতুন ভূমিকা দেওয়া হয় মুশফিকুর রহিমকে। নতুন ভূমিকায় তিনি দারুণ সফল। মাহমুদউল্লাহর জায়গায় ছয়ে নেমে ৭ ইনিংসে এই সময়ে ৭১.২০ গড় আর ১০৯.২০ স্ট্রাইকরেটে ৩৫৬ রান করেছেন মুশফিক।

বড় রান করার পাশাপাশি দ্রুত রান তোলার চাহিদা মিটছে তার ব্যাটে। যে কারণে মাহমুদউল্লাহ হয়ে পড়েছিলেন প্রশ্নবিদ্ধ, মুশফিক সেই জায়গাতেই দলকে দিচ্ছেন বড় ভরসার ছবি।

ছয়ে থিতু হওয়া মুশফিককে আর নড়াতে চাইবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। তার উপরে সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের জায়গাও পাকা। সেক্ষেত্রে সাতে মাহমুদউল্লাহকে ফিরতে হলে তিনি কি আগ্রাসী খেলার দাবি মেটাতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চাইবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।

ছয় নম্বরে কিছু রান পেলেও মন্থর স্ট্রাইকরেটের কারণেই তার জায়গা নড়ে যায়। সাতে সেই দাবি থাকবে আরও বেশি।  ৩৭ পেরুনো তারকার জন্য চ্যালেঞ্জটা তাই কঠিন।

Comments

The Daily Star  | English
expediency

Expediency triumphs over principle in electoral politics

It appears that all of the ruling party’s efforts revolve around the next election, not considering longer-term ramifications for the itself.

6h ago