জয় দিয়ে ব্রডকে বিদায় জানাল ইংল্যান্ড
ক্যারিয়ারে শেষবারের মতো বোলিংয়ে স্টুয়ার্ট ব্রড। কিন্তু প্রতিপক্ষকে সে অর্থে ভোগাতে পারছিলেন না শুরুতে। তবে জ্বলে উঠলেন কার্যকরী সময়ে। অষ্টম উইকেটে যখন ৩৮ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ছিল অস্ট্রেলিয়া, তখনই ভাঙেন তাদের প্রতিরোধ। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে ভাঙেন জুটি। এরপর শেষ উইকেটটাও তুলে নেন তিনি। নিজের হাতেই জয় তুলে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ব্রড।
ওভালে সোমবার অ্যাশেজ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের শেষ দিনে এসে অস্ট্রেলিয়াকে ৪৯ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ৩৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৩৩৪ রানে গুটিয়ে যায় অজিরা।
শেষ পেরেকটা ব্রড ঠুকে দিলেও জয়ের মূল নায়ক ক্রিস ওকস ও মঈন আলী। এ দুই বোলারই মূলত অজিদের দ্বিতীয় ইনিংস ধসিয়ে দেন। অথচ লক্ষ্য তাড়ায় আগের দিন কি দুর্দান্ত সূচনাই না করেছিল অস্ট্রেলিয়া। বিনা উইকেটে করে ফেলেছিল ১৩৫ রান। তবে এদিনের শুরুটা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।
সকালে স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হতেই ভাঙে তাদের ওপেনিং জুটি। ডেভিড ওয়ার্নারকে উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর ক্যাচে পরিণত করে শুরুটা করেন ওকস। ১০৬ বলে ৬০ রান করেন ওয়ার্নার। পরের ওভারে ফিরে আরেক অপরাজিত ব্যাটার উসমান খাওয়াজাকেও ফেরান এই পেসার। তাকে ফেলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। ১৪৫ বলে খাওয়াজা খেলেন ৭২ রানের ইনিংস।
১ রানের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটারকে হারানোর পর মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা চালিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। তবে লাবুশেনকে খুব বেশি দূর আগাতে দেননি মার্ক উড। ব্যক্তিগত ১৩ রানে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন জ্যাক ক্রলির হাতে। এরপর ট্রাভিস হেডকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন স্মিথ। তৃতীয় উইকেটে ৯৫ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল অজিরা।
তবে এরপরই মঞ্চে আসেন চলতি সিরিজেই অবসর থেকে ফিরে আসা মঈন আলী। ব্যক্তিগত ৪৩ রানে হেডকে স্লিপে রুটের ক্যাচে পরিণত করে ভাঙেন এ জুটি। আর এ জুটি ভেঙেই তেতে ওঠে দলটি। পরের ওভারে স্মিথকেও তুলে নেয় তারা। ওকসের অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বলে ডিফেন্স করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো ক্রলির হাতে। ৯৪ বলে ৫৪ রান করেন স্মিথ।
এরপর ১ রানের ব্যবধানে আরও দুটি উইকেট তুলে নেয় ইংলিশরা। মিচেল মার্শকে (৬) উইকেটরক্ষক বেয়ারস্টোর ক্যাচে পরিণত করেন মঈন। আর মিচেল স্টার্ককে খালি হাতে বিদায় করেন ওকস। বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও। তার ব্যাটেই প্রথম টেস্টে অসাধারণ এক জয় পেয়েছিল অজিরা। ব্যক্তিগত ৯ রানে তাকে স্টোকসের ক্যাচে পরিণত করেন মঈন।
তবে টড মার্ফিকে অজিদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন আলেক্স ক্যারি। ৩৮ রানের জুটিও গড়েন তারা। কিন্তু এরপরও ব্রডের জাদু। এ দুই ব্যাটারকেই উইকেটরক্ষক বেয়ারস্টোর ক্যাচে পরিণত করে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ব্রড। ২৮ রান করেন ক্যারি।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ৫০ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন ওকস। ৭৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান মঈন। ব্রডের শিকার দুইটি।
Comments