অস্ত্রোপচারে যেতে হলো ইবাদতকে, বিশ্বকাপে সম্ভাবনা নেই 

Ebadot Hossain
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের সময় চোট পেয়ে বেরিয়ে যান ইবাদত। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

অস্ত্রোপচার নাকি পুনর্বাসন? ডানহাতি পেসার ইবাদত হোসেনের বেলায় বেছে নেওয়া হবে কোনটা? এই নিয়ে ছিল দ্বিধা। শেষ পর্যন্ত লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচারে গেলেন তিনি। তাতে তার বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা মিলিয়ে গেল।

আজ বুধবার সকালে লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে যান ইবাদত। সেখান থেকেই নিজের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, 'জীবনে প্রথমবার অপারেশন টেবিলে। আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ ভরসা।'

এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা.দেবাশীষ চৌধুরীও দ্যা ডেইলি স্টারকে জানান ইবাদতের অস্ত্রোপচারের কথা,  'হ্যাঁ, ইবাদতের একটা অস্ত্রোপচার চলছে। অস্ত্রোপচারটা শেষ হলে আমরা পুনর্বাসন পরিকল্পনা করব।'

স্বাভাবিকভাবেই যেকোনো অস্ত্রোপচার হয়ে গেলে লম্বা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় যেতে হয়। ইবাদতের বেলাতেও হবে সেটা। এক মাস পর ভারতে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে তার খেলার সম্ভাবনা নেই, 'অপারেশন হয়ে গেলে তো কিছু করার নেই। (বিশ্বকাপে নিয়ে)'

জানা গেছে, ইবাদতের পুনর্বাসনের জন্য কমপক্ষে ৬ মাস সময় লাগতে পারে।

গত ৮ জুলাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের সময় পা হড়কে পড়ে যান ডানহাতি পেসার। বাম পায়ের হাঁটুর চোটে বোলিং অসমাপ্ত  রেখেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তবে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর জানানো হয়েছিল চোট গুরুতর নয়। যদিও আফগানদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছিটকে যান তিনি।

তখন জানা গিয়েছিল ইবাদতের সেরে উঠতে সময় লাগবে দুই থেকে তিন সপ্তাহ। সেই হিসেব করেই ইবাদতকে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে রাখা হয়। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নতি হয়নি। এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বিশ্বকাপ সমীকরণেও থাকতে পারলেন না গতিময় পেসার।

গত এক বছরে ওয়ানডে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তার পারফরম্যান্স ছিল সবচেয়ে উজ্জ্বল। এই সময়ে ১২ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ২২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।  ইবাদতকে হারানো তাই বড় ধাক্কা বাংলাদেশের।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago