নেক গার্ড পরা বাধ্যতামূলক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের
বিশ্বকাপ শুরু হতে আর ২০ দিনের মতো বাকি। এর আগে বেশ বড় এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। খেলোয়াড়দের জন্য নেক গার্ড পরা বাধ্যতামূলক করেছে তারা। আগামী ১ অক্টোবর অর্থাৎ বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে এই সিদ্ধান্ত।
ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক সব পর্যায়ের ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাটারদের ঘাড়ে পরতে হবে গার্ড। এই নির্দেশ না মানলে বোর্ডের কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের দায়ে শাস্তির মুখে পড়বেন ক্রিকেটাররা। ক্ষেত্র বিশেষে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হতে পারে।
মূলত পেসারদের বল খেলার ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের হেলমেটে নেক গার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। তবে স্পিনারদের বিপক্ষে বল খেলার সময় শিথিল করা হয়েছে এই নিয়ম। উইকেটরক্ষক কিংবা ব্যাটার ঘেঁষে থাকা ফিল্ডারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে না নিয়মটি।
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে শন অ্যাবটের একটি বাউন্সার লেগেছিল ফিলিপ হিউজের মাথায়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে চারদিন বাদে মৃত্যু হয় তার। তাতে কেঁপে উঠেছিল ক্রিকেট দুনিয়া। তখন স্টেম গার্ডের নকশা তৈরি করা হয়েছিল। তবে অনেক খেলোয়াড়ই তা পরিধান করতে রাজী হননি।
২০১৬ সালে তো এই নেক গার্ড পরবেন না বলেই সরাসরি জানিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। মাঝে মধ্যে দুই একটি ম্যাচে ব্যবহার করলেও নেক গার্ড পরা বরাবরই এড়িয়ে গেছেন স্টিভ স্মিথও। ২০১৯ সালে লর্ডস টেস্টে জোফরা আর্চারের বল মাথায় লাগলে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে।
এ প্রসঙ্গে তখন স্মিথ বলেছিলেন, 'আমি এটা চেষ্টা করেছি নেটে ব্যাটিংয়ের সময়। মনে হচ্ছিল আমার হৃৎস্পন্দনের মাত্রা প্রায় ৩০ কিংবা ৪০ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। আমি আবদ্ধ অনুভব করছিলাম। এটিকে এমআরআই স্ক্যান মেশিনে আটকে থাকার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।'
খেলোয়াড়দের রক্ষা করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হেড অব অপারেশন্স পিটার রোচ, 'খেলাধুলায় মাথা এবং ঘাড় রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘাড় রক্ষাকারী পণ্য ব্যবহারের বিষয়টি অনেকদূর এগিয়েছে। বিশেষজ্ঞ এবং নীতিনির্ধারকদের বিশদ পরিসরে আলোচনা এবং অনেক পরামর্শের ভিত্তিতে গার্ড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তটি এসেছে।'
Comments