সিলেট থেকে

জেতার পরও শান্তর ‘হতাশা’ ও একটি ‘প্রশ্ন’

'যে জিনিসটা খুব ভালো আমাদের দলে— মিরাজ, নাঈম, তাইজুল ভাই এরা লম্বা সময় ধরে বোলিং করতে পারে। মানে বলই ছাড়তে চায় না।'
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পূর্ণ শক্তির নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে দেশের মাটিতে প্রথম জয়। এক পেসার নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ জিতেছে স্পিন ভেলকিতে, যদিও উইকেট ছিল যথেষ্ট স্পোর্টিং। তারপরও নিজেদের দক্ষতার ছাপ রেখে ২০ উইকেটের ১৮টিই নিয়েছেন স্পিনাররা। তবে বিশ্ব ক্রিকেটেই স্পিনে নির্ভর করে জিতলেই উঠে যায় প্রশ্ন। জেতার পর অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত এবার ছুঁড়ে দিলেন উল্টো একটি প্রশ্ন। সেই সাথে একটা হতাশার কথাও এলো ম্যাচশেষে তার সংবাদ সম্মেলনে।

সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের সময়ে পেসারদের বাড়তি গুরুত্ব দিতে দেখা যেত। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পেলেও শান্তর অধীনে কি তেমনটা ঘটবে নাকি স্পিনাররা বাড়তি মনোযোগ পাবেন বরাবরের মতো? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রথমবারের মতো টেস্টে অধিনায়কত্ব করা বাঁহাতি এই ব্যাটার শনিবার জানান, 'এটা আসলে নির্ভর করে… যদি আমরা ভিন্ন কন্ডিশনে খেলতাম, ভিন্ন দলের বিপক্ষে খেলতাম, তাহলে হয়তো পেস বোলার বেশি থাকত। আমার কাছে একটা জিনিস (অদ্ভুত) লাগে, যখনই আমরা স্পিনার বেশি খেলাই, তখনই এই প্রশ্ন হয়। পেস বোলার বেশি খেলালে, স্পিনার কম খেলালে তখন এই প্রশ্ন কিন্তু আসে না। যে তাইজুল (ইসলাম) কেন খেলল না ম্যাচটা, বা (মেহেদী হাসান) মিরাজ কেন খেলছে না বা নাঈম (হাসান) কেন নাই।'

'তো বিষয়টা আলাদা করার কিছু নেই, সবাই বোলার। পেস বোলার হোক বা স্পিনার, সবাই বোলার। নির্ভর করে কোন পরিস্থিতিতে, কোন কন্ডিশনে, কোন দলের বিপক্ষে বোলারটা আমার কাজে দিবে।'

সিলেটে সাদা বলের খেলায় গ্যালারি থাকে কানায় কানায় পূর্ণ। এবার সিলেটে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর টেস্ট হলেও দর্শকদের আগ্রহ দেখা যায়নি খুব একটা। ছুটির দিন শুক্রবার হওয়ায় চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে সবচেয়ে বেশি দর্শক দেখা গিয়েছিল। ওয়েস্টার্ন গ্যালারির অর্ধেক ও ইস্টার্ন গ্যালারিতে কিছু অংশ ভরে গিয়েছিল। এর বাইরে বলতে গেলে ফাঁকা গ্যালারির সামনেই খেলেছে বাংলাদেশ, পেয়েছে ১৫০ রানের স্মরণীয় জয়। 

লাল বলের খেলা দেখতে বাংলাদেশের দর্শকরা মাঠে আসেন না বলে শান্ত হতাশ। ফাঁকা গ্যালারি থেকে কোনো জিদ কাজ করেছে কিনা জানতে চাওয়া হলে শান্তর উত্তর, 'এমনিতেই সাধারণত আমার কাছে মনে হয় যে, টেস্ট ম্যাচ খুব একটা আমাদের দেশের মানুষ দেখতেও আসেন না। এটা খুবই হতাশাজনক। কিন্তু আসলে অনুপ্রেরণা চাইলে বিভিন্ন জায়গা থেকে খুঁজে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এগুলো আসলে আমার মনে হয় না কোনো খেলোয়াড়ই চিন্তা করেছে। সবাই চিন্তা করেছে কীভাবে আমরা ম্যাচটা জিততে পারি। আশেপাশে কে আছে, কী হচ্ছে না হচ্ছে, এটা থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, সবাই সবার কাজটা নিয়ে চিন্তিত ছিল।'

তিন স্পিনারের সঙ্গে এক পেসার অর্থাৎ চারজন মূল বোলার নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। এই কম্বিনেশনটার প্রতি শান্তর ভালো লাগা বাড়িয়ে দিয়েছিল আরেকটি কারণ, 'কম্বিনেশনটা নিয়ে আমি খুশি ছিলাম। যে জিনিসটা খুব ভালো আমাদের দলে— মিরাজ, নাঈম, তাইজুল ভাই এরা লম্বা সময় ধরে বোলিং করতে পারে। মানে বলই ছাড়তে চায় না। স্বাভাবিকভাবে আমার জন্যও কাজটা সহজ হয়ে যায়।'

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago