বলছেন বিসিবি সভাপতি

‘মানুষ বোঝে আসলে এটা সাংবাদিকতা না’

সম্প্রতি মুশফিকুর রহিমের ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট’ এর দৃশ্যকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভির ফেসবুক পাতায় ফিক্সিংয়ের সন্দেহ টেনে ভিডিও প্রকাশ হয়। এরপর ওই চ্যানেলকে আইনি নোটিশ পাঠান মুশফিক।
Nazmul Hassan Papon
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

গণমাধ্যমে ভিত্তিহীন খবর, ব্যক্তি আক্রমণ নিয়ে বিরক্ত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। একের পর এক স্পর্শকাতর খবরে কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এতদিন না দেখালেও এবার তিনি বলছেন, মানুষই বুঝতে পারছে এসব আসলে সাংবাদিকতা না।

সম্প্রতি মুশফিকুর রহিমের 'অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট' এর দৃশ্যকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভির ফেসবুক পাতায় ফিক্সিংয়ের সন্দেহ টেনে ভিডিও প্রকাশ হয়। এরপর ওই চ্যানেলকে আইনি নোটিশ পাঠান মুশফিক।

গণমাধ্যমটি ভিডিও সরিয়ে এরমধ্যে দুঃখপ্রকাশও করেছে। তবে এখানেই শেষ নয়। আরও কয়েকটি ঘটনা নিয়ে শনিবার মিরপুর টেস্টের পর গণমাধ্যমের সামনে নিজের মতামত তুলে ধরেন বিসিবি সভাপতি।

কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে বিশ্বকাপ চলাকালীন এক ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে একটি খবর প্রকাশ হয়েছিল কদিন আগে। বিসিবি প্রধান জানান, এই ধরণের কিছু তিনি কখনই শুনেননি,  'আমি জানি না। আমি কোনো দিনই শুনিনি এমন ঘটনা। আমি এই ধরনের কোনো কথাই শুনিনি।'

ঘটনা জানার পর বোর্ড প্রধান কোচকে শাসিয়েছেন বলেও খবর প্রচার হয়। তবে পাপন বলছেন, এটা পুরোপুরি মিথ্যা,  'বলা হয়েছে আমি নাকি কোচকে শাসিয়েছি সামথিং লাইক দ্যাট …. আমি তো জানি না।… কাজেই এরপর আমার তো কিছু বলার নাই। যে জিনিসটা আমি জানি মিথ্যা। সেই জিনিসটা নিয়ে…..।'

কয়েক মাস আগে হাথুরুসিংহের ছেলে বাংলাদেশে এলে তাকে নিয়েও আপত্তিকর খবর প্রচার হয়। কোচের ছেলেকেও 'ফিক্সার অপবাদ' দিয়ে কন্টেন্ট প্রকাশ হয়। সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান জাতীয় দলের সভায় কোচের ছেলে কেন, এমন প্রশ্ন তুলেন। 

বিসিবি সভাপতি জানান, ইন্টার্নশিপের অংশ হিসেবে জাতীয় দলের মিটিংয়ে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কোচের ছেলেকে,  'তাকে আমরা ইন্টার্নশিপ করতে দিয়েছি। সে ইন্টার্নশিপ করতে এসেছিল।' গত কয়েক মাস ধরেই ব্যক্তি আক্রমণের শিকার হয়ে আসছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও। এসব ব্যাপারে কখনই কোন প্রতিক্রিয়া এতদিন দেখাতে দেখা যায়নি বিসিবিকে।  

ব্যক্তি আক্রমণ নির্ভর চটকদার খবরের বিরুদ্ধে বিসিবি এতদিন নীরব ভূমিকায় থাকলেও এবার বোর্ড প্রধান বলছেন, তারা এখন থেকে যা করা দরকার তা করবেন, 'একটা সময় ছিল মিথ্যা কিছু তথ্য দিলেই মানুষ বেশি খেত, গ্রহণযোগ্য ছিল। আমি জানি না, আপনারা তো সাংবাদিক খোঁজ নিয়ে দেখেন এই সমস্ত মিথ্যাচার করতে করতে আস্তে আস্তে মানুষ কিন্তু উল্টা কথাও বলছে। "এরা (কিছু গণমাধ্যম) কিন্তু ক্রিকেটের ধ্বংস করার জন্য কথা বলছে।" এই রকম কথাও বলছে ধারাবাহিকভাবে। আমরা তো এই জিনিসটাই চাচ্ছি, আমরা এর জন্য অপেক্ষায়। তারপর বিসিবির যা করার তা তো করবেই।'

বাংলাদেশের ক্রিকটের সবচেয়ে বড় কর্তার মতে আপত্তিকর, ভিত্তিহীন কন্টেন্ট যে সাংবাদিকতা না সেই বোধ হয়ে গেছে সাধারণ মানুষেরই,  'বাস্তবতা মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।…. সবকিছুর একটা লিমিট আছে। যখন লিমিটটা ক্রস করে যায় তখন মানুষ বোঝে আসলে এটা সাংবাদিকতা না।'

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago