সাংবাদিকের কাছে সমাধান চাইলেন হাথুরুসিংহে
বিশ্বকাপের আগে থেকেই ব্যর্থতার চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। কখনো পুরোপুরি ধস, কখনো ব্যাটাররা শুরু পেলেও টানতে পারছেন না ইনিংস। সেই সঙ্গে চলছে ব্যাটিং অর্ডারে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও। ব্যাটারদের ইনিংস টানতে না পারা যে দলের জন্য বড় উদ্বেগের তা স্বীকার করলেন প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। কিন্তু এর সমাধান পাচ্ছেন না তিনি। বরং প্রশ্ন কর্তার কাছেই চাইলেন সমাধান।
এক সময় ওয়ানডে সংস্করণেই সবচেয়ে ভালো ফল করত বাংলাদেশ। এখন হয়েছে বিপরীত। বাকি দুই সংস্করণে কিছু সাফল্যে এলেও ওয়ানডেতে ভুগছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর নিউজিল্যান্ডে খেলতে গিয়েও বেহাল দশা থামেনি। দ্বিতীয় সারির কিউইদের বিপক্ষে ৩০ ওভারে ২৪৫ রান তাড়ায় নেমে হারতে হয়েছে ৪৪ রানে। বাংলাদেশ ইনিংসে ৩০ পেরুনো ইনিংস খেলেছেন তিনজন। ২০ পেরিয়েছেন আরও দুজন। একজনও ইনিংস বড় করতে না পারায় ভুগেছে দল।
নেলসনে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে তাই এই জায়গা দলের জন্য একটা অস্বস্তির। মঙ্গলবার অনুশীলনের আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে এই ব্যাপারে প্রশ্ন হলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন বাংলাদেশ কোচ, 'বিশাল উদ্বেগের (ব্যাটারদের বড় রান না করা)। আপনার কাছে যদি উত্তর (সমাধান) থাকে বলবেন, তাদেরকে আমি জানাবো।'
আগের ম্যাচ হারায় পরিকল্পনায় কোন গলদ দেখেন না কোচ, বাস্তবায়নে পাচ্ছেন সমস্যা। পরের ম্যাচে তাই উন্নতির খুঁজে তিনি, 'সব সময় উন্নতির কথা বলি আমরা। যেভাবে পরিকল্পনা প্রয়োগ করেছি সেটা আরও ভালো হতে পারত। বোলিংয়ে কন্ডিশন অনুযায়ী লেন্থ-লাইন মানিয়ে নিতে পারি। ব্যাটিংয়ে শুরু করে বড় রান হয়নি। আমাদের এক -দুজনকে বড় রান করতে হবে।'
ডানেডিনে প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে বাংলাদেশের শুরু হয় দারুণ। প্রথম ওভারেই কিউইদের দুই উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু এই ছন্দ থাকেনি। দুই দফায় বৃষ্টি এসে ম্যাচ ৩০ ওভারে নামিয়ে দেওয়াকেও এজন্য দায় দিলেন হাথুরুসিংহে, 'ম্যাচ হারা অবশ্যই হতাশার। কিন্তু আবহাওয়া নিয়ে আমরা বেশি কিছু করতে পারি না। আমাদের অনেক পরিকল্পনা বৃষ্টির কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ভালো শুরু করেছিলাম, কিন্তু শেষে ভালো বল করিনি। আমরা কন্ডিশন কাজে লাগাচ্ছিলাম কিন্তু দুবার বৃষ্টি বিরতির পর অধিনায়ক বোলিং সামলাতে চাপে পড়ে যায়।'
বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে।
Comments