স্যান্টনারের স্পিনে কাবু বাংলাদেশের মামুলি পুঁজি
মাউন্ট মঙ্গানুইর ছোট মাঠে উইকেট কিছুটা থাকল মন্থর ঘরানার। বাঁহাতি স্পিনে তাতে জ্বলে উঠলেন মিচেল স্যান্টনার। গতির বৈচিত্র্যে দারুণ বল করলেন পেসাররাও। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় তাল হারানো বাংলাদেশ তাই পেল না লড়াইয়ের পুঁজিও।
রোববার সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে স্রেফ ১১০ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। পাঁচ ব্যাটার দুই অঙ্কে গেলেও কেউই ২০ রানও করতে পারেননি। সফরকারীদের ধসিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক স্যান্টনার। তিন পেসার মিলে নিয়েছেন বাকি ৬ উইকেট।
বড় রানের চিন্তায় চার দিয়ে ইনিংস শুরুর পরই টিম সাউদির বলে কাটা পড়েন সৌম্য সরকার। স্যুয়িং করে লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল ফ্লিক করতে না পেরে পায়ে লাগান তিনি। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আউট দিলে রিভিউ নিয়ে অল্পের জন্য হতাশ হতে হয় তাকে।
তিনে নেমেই বাউন্ডারি পান নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক খেলছিলেন ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে। তিন বাউন্ডারিতে থিতু পরে হয়ে ইনিংস টানতে পারেননি। অ্যাডাম মিলনকে এগিয়ে এসে উড়াতে গিয়ে তুলে দেন সহজ ক্যাচ। অধিনায়কের ১৫ বলে ১৭ রানই পরে হয় দলের সর্বোচ্চ! রনি তালুকদারও থিতু হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। বেন সিয়ার্সের বলে তার বিদায় দুর্ভাগ্যজনক। অ্যাঙ্গেল তৈরি করে বলটা লেগ স্টাম্প মিস করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আউট দিলে সতীর্থ তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে রিভিউ না নিয়ে বেরিয়ে যান। রিভিউ নিলে সহজেই বাঁচতে পারতেন তিনি।
আফিফ হোসেন টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা সুখকর করতে পারেননি। মিচেল স্যান্টনারের বলে এক বাউন্ডারির পর ইনিংস থামান অদ্ভুত ভাবে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। হৃদয় সময় নিচ্ছিলেন, তবে অনেকগুলো ডট বলের চাপ নেওয়া সম্ভব হয়নি তার। স্যান্টনারের বলে তার কট বিহাইন্ড নিউজিল্যান্ড পেয়েছে রিভিউ নিয়ে। তার বিদায়ে ৬৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
দলের চরম বিপদে সাতে নেমে শেখ মেহেদী হাসান তালগোল পাকিয়ে খেলতে থাকেন একের পর এক ডট বল। শেষ পর্যন্ত বিদায় নেন ১৩ বলে ৪ করে। স্যান্টনারের বলে স্কয়ার কাট করতে গিয়ে দেন কিপারের হাতে ক্যাচ।
শামীম হোসেনও দেখাতে পারেননি ঝাঁজ। অনেক চেষ্টা করেও দ্রুত রান বের করার পথ পাননি তিনি। ১৪ বলে ৯ করে তিনিও শিকার স্যান্টনারের। বাউন্ডারির চেষ্টায় শর্ট ফাইন লেগে ধরা দেন এই ব্যাটার। স্লগ ওভারে বেন সিয়ার্স, টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনেরা টেল এন্ডারদের আর বাড়তে দেননি।
পুরো ইনিংস জুড়ে বাংলাদেশ ভুগেছে জুটি গড়তে না পারায়। সর্বোচ্চ ২৭ রানের জুটি আসে দ্বিতীয় উইকেটে। উইকেটে স্পিনারদের জন্য সহায়তা থাকলেও অন্তত ৪০ রান কম করেছেন শান্তরা। এই পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জিততে হলে বোলারদের অবিশ্বাস্য পারফর্ম করতে হবে।
Comments