কেপটাউনে ব্যাপারটা সহজ হবে না: ডোনাল্ড
ব্যাটিং কিংবা বোলিং, সেঞ্চুরিয়নে দুই বিভাগেই বড় সংগ্রাম করেছে ভারতীয়রা। তবে বোলাররা ভুগেছে একটু বেশিই। হারতে হয়েছে ইনিংস ব্যবধানে। কেপটাউনে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া দলটি। কিন্তু সেখানকার ফ্ল্যাট উইকেটে ভারতীয় বোলারদের জন্য কাজটা আরও কঠিন হবে বলে মনে করে দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার ও বাংলাদেশের সাবেক পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
প্রথম টেস্ট হেরে যাওয়ায় মান রক্ষা করতে হলে দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে ভারতকে। আর টেস্ট জিততে হলে বোলারদের ভালো করার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিপক্ষ দুইবার অলআউট করতেই হবে। তাই কেপটাউনের পিচ ও কন্ডিশন বিবেচনায় ভারতীয় বোলারদের সতর্ক করে দিলেন ডোনাল্ড।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কিংবদন্তি জানিয়েছেন, 'আমি জানি (প্রথম টেস্টে) দক্ষিণ আফ্রিকা কন্ডিশনকে অনেক ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে। এই বিষয়ে আলাদা করে কোনো প্রশ্ন থাকতেই পারে না। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা পিচে ৫ থেকে ৫.৫ মিটার লেন্থে বল করেছে। যার সুবিধা তারা পেয়েছে। তারা বলকে পিচ থেকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। এই কাজটাই ভারতীয় বোলাররা ঠিকভাবে করতে পারেনি।'
'দক্ষিণ আফ্রিকাতে বলকে পিচের সাহায্য নিয়ে কাজ করতে দিতে হয়। তাতে অনেক বেশি সাহায্য পাওয়া যায়। ভারতের থেকে এই জায়গায় এগিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকান পেসাররা। তারা অনেক বেশি ধৈর্য্য রেখেছে। যা ভারতীয় বোলাররা রাখেনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও তারা বাউন্সার অনেক বেশি ব্যবহার করেছে,' বলেন এই সাবেক তারকা পেসার।
সেঞ্চুরিয়নে ভারতীয় বোলাররা বেশি তাড়াহুড়ো করেছে বলে মনে করেন ডোনাল্ড, 'ভারতের হয়ে একজন বোলারের (প্রসিধ কৃষ্ণা) অভিষেক হয়েছে। আমি মনে করি বুমরাহ সহ সব ভারতীয় বোলার অতিরিক্ত কিছু করার আশায় তাড়াহুড়ো করেছে। খুব তাড়াতাড়ি তারা অনেক বেশি শর্ট বল করেছে। ফলে লাইন এবং লেন্থ নিয়ে তারা সমস্যায় পড়েছে। ফলে কোন একটা দিক ওপেন হয়ে গিয়েছে। স্কয়ার লেগ, অফ সাইডকে কাজে লাগিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা।'
কেপটাউনে ভারতীয় পেসারদের সৃজনশীলতার পরীক্ষা হবে বলে জানান তিনি, 'কেপটাউনে কিন্তু ব্যাপারটা সহজ হবে না। এখানে দুই দলের বোলাররাই অনেক বেশি এনার্জি নিয়ে খেলতে আসবে। কেপটাউনে কিন্তু উইকেট অনেক বেশি পাটা হবে। ফলে এখানের উইকেটে উইকেট নিতে গেলে ভারতীয় বোলারদের অনেক বেশি সৃজনশীল হতে হবে।'
Comments