ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম টেস্টের পিচকে শাস্তি দিল আইসিসি
কেপটাউনে সময়ের হিসেবে দেড় দিনও গড়ায়নি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সবমিলিয়ে খেলা হয়েছিল ১০৭ ওভার। যা ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে ছোট দৈর্ঘ্যের টেস্ট। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত এই রেকর্ড গড়ায় নিউল্যান্ডসের পিচকে 'অসন্তোষজনক' বলেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। একই সঙ্গে শাস্তি হিসেবে দেওয়া হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের মধ্যকার আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সেই ম্যাচটির পিচ অনেক বেশি বোলিং সহায়ক হওয়ায় 'অসন্তোষজনক' হিসেবে রেট করে আইসিসি। আইসিসি পিচ এবং আউটফিল্ড মনিটরিং প্রক্রিয়ার অধীনে নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত।
বৃষ্টি, বাজে আবহাওয়া, আলোক স্বল্পতা কিংবা অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতার ব্যাপার না থাকা সত্ত্বেও কেপটাউন টেস্টে চার ইনিংস মিলিয়ে বল হয়েছে মাত্র ৬৪২টি। এর আগে ১৯৩২ সালে এমন স্বল্প দৈর্ঘ্যের ম্যাচ দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। সে ম্যাচে খেলা হয় তিন ইনিংস। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ইনিংস ও ৭২ রানের ব্যবধানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সবমিলিয়ে ১০৯.২ ওভার হলেও বৃষ্টির কারণে খেলা গড়ায় চার দিন পর্যন্ত।
নিউল্যান্ডসের পিচ নিয়ে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড বলেছেন, 'নিউল্যান্ডসের পিচে ব্যাট করা খুব কঠিন ছিল। পুরো ম্যাচে বল দ্রুত এবং কখনও কখনও ভয়ঙ্করভাবে বাউন্স করে, শট খেলা খুবই কঠিন ছিল। বেশ কিছু ব্যাটার গ্লাভসে আঘাত পায় এবং বিশ্রী বাউন্সের কারণে অনেক উইকেটও পড়ে যায়।'
শাস্তি হিসেবে এই উইকেটকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে আইসিসি। চাইলে এর বিরুদ্ধে ১৪ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ)। যদি কোনো ভেন্যু পাঁচ বছরের মধ্যে ছয় ডিমেরিট পয়েন্ট পায় তাহলে ১২ মাসের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ১২টি ডিমেরিট পয়েন্টের ক্ষেত্রে শাস্তি ২৪ মাস।
মাত্র দেড় দিনে গড়ানো সেই ম্যাচ ৭ উইকেটে জিতেছে ভারত। মোহাম্মদ সিরাজের ১৫ রানের খরচায় নেওয়া ৬ উইকেটে মাত্র ৫৫ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৫৩ রানে অলআউট হয়ে ৯৮ রানে লিড পায় ভারত। এরপর এইডেন মার্করামের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও মাত্র ৭৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারে স্বাগতিকরা। যা তিন উইকেট হারিয়েই করে ফেলে ভারত।
Comments