শ্রীলঙ্কাকে জিতিয়ে 'অভিষেকের অনুভূতি' ম্যাথিউসের

প্রায় তিন বছর পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরেই নায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।

এর আগে সব শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২১ সালের মার্চে। ধরেই নেওয়া হয়েছিল এই সংস্করণে ক্যারিয়ার শেষ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের। কিন্তু হুট করেই আবার ফিরলেন টি-টোয়েন্টিতে। তাও আবার নায়ক বেশে। ফেরার ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে এনে দিলেন রোমাঞ্চকর এক জয়।

রোববার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৩ রান করে জিম্বাবুয়ে। লক্ষ্য তাড়ায় জয় তুলে নিতে শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হয় স্বাগতিকদের।

এদিন ম্যাচের শুরুই করেন ম্যাথিউস। পাওয়ার প্লেতে দুই ওভার বল করে ১৩ রান খরচ করেন। যদিও এরপর অবশ্য আর বোলিং করেননি। সতীর্থদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা আহতের নাগালেই রাখে তারা। ৪২ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়েকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন সিকান্দার রাজা।

এরপর লক্ষ্য তাড়ায় ৫১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। এরপর চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে ৩২ রানের ছোট একটি জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালান ম্যাথিউস। এরপর দ্রুত দুটি উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তখন দাসুন শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ম্যাথিউস।

শুরুতে কিছুটা ধুঁকছিলেন। ধীরে ধীরে নিজেকে ফিরে পান। খেলতে থাকেন দারুণ কিছু শট। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে রেখে বিদায় নেন ম্যাথিউস। এরপর বাকি কাজ দুশমন্থ চামিরাকে নিয়ে শেষ করেন শানাকা।

এমন দারুণ ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান ম্যাথিউস। ম্যাচ শেষে বলেন, 'মনে হচ্ছিল যেন অভিষেক ম্যাচ খেলছি… প্রায় তিন বছর পর খেলছি। তবে কারও কাছে কিছু প্রমাণ করার চেষ্টা করিনি আমি। আমার জন্য এটি আরেকটি সুযোগ ছিল শ্রীলঙ্কার হয়ে মাঠে নামার ও দেশের জন্য খেলার।'

এদিন উইকেট বেশ মন্থর ছিল। ম্যাচের শেষ দিকে আরও মন্থর হতে থাকে। কাজটা তাই চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে জানান ম্যাথিউস, 'উইকেট খানিকটা ধীরগতির ছিল। ব্যাট করা ও শট খেলা সহজ ছিল না। জিম্বাবুয়েও খুব ভালো লড়াই করে আমাদের কাজ কঠিন করে তোলে। তবে শেষ দিকে দাসুন (শানাকা) সত্যিই ভালো খেলেছে।'

'এই উইকেটে লক্ষ্যটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল এবং প্রয়োজন ছিল ভালো সূচনা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা শুরুতে উইকেট হারাই, মাঝের ওভারগুলোতেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে। আমি তাই চেষ্টা করেছি উইকেট ধরে রাখতে, দাসুন শেষদিকে দুর্দান্ত খেলেছে,' যোগ করেন শ্রীলঙ্কার এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

Comments

The Daily Star  | English
bd govt logo

25 districts including Dhaka get new DCs

Deputy commissioners were withdrawn from these districts on August 20

1h ago