পরিবারকে গ্যালারীতে রেখে হ্যাটট্রিক শরিফুলের
বাংলাদেশ জাতীয় দলে শরিফুল ইসলামের উত্থান বয়স ভিত্তিক দল থেকে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই পেসার এখন জাতীয় দলের অপরিহার্য মুখ। তার খেলা কখনোই মাঠে বসে দেখেননি তার পরিবার। শুক্রবার বিপিএলের ম্যাচ দেখতে এলেন প্রথমবার, আর সেদিনই পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক। উচ্ছ্বাসটা যেন একটি বেশিই এই তরুণের।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে দারুণ এক হ্যাটট্রিক করেছেন শরিফুল। তার হ্যাটট্রিকের দিনে হেসেছে তার দলও। প্রথমবারের মতো খেলতে আসা দলটি হারিয়ে দিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সকে। ৫ উইকেটের জয় পায় তারা।
অথচ শক্তি ও সামর্থ্যে কুমিল্লার চেয়ে ঢের পিছিয়ে ছিল ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এই দলের সেরা তারকা শরিফুলই। ২২ বছর বয়সী এই পেসার জন্য দিনটি অন্যরকমই। দলের জয়ের সঙ্গে নিজের হ্যাটট্রিক। সেই হ্যাটট্রিক আবার পারিবারকে সামনে রেখেই। পঞ্চগড় থেকে প্রথমবারের মতো মাঠে বসে ছেলের খেলা দেখতে আসে শরিফুলের বাবা-মা। ছিলেন শরিফুলের স্ত্রীও।
ম্যাচ শেষে তাই নিজেদের উচ্ছ্বাস গোপন করতে পারেননি শরিফুল। সংবাদ সম্মেলনে বললেন, 'খুব ভালো লাগছে, বিশেষ করে আমার পরিবার আজকে মাঠে এসেছে প্রথম খেলা দেখতে এসেছে এবং সেদিনই আমার হ্যাটট্রিক হয়েছে। এর জন্য খুব বেশি ভালো লাগছে।'
এর আগে ক্যারিয়ারের কোনো পর্যায়েই হ্যাটট্রিক করতে পারেননি শরিফুল। পরিবারের উপস্থিতি যেন তার জন্য সৌভাগ্যই বয়ে এনেছে। এরপর নিয়মিতই তারা মাঠে থাকবেন কি-না জানতে চাইলে বলেন, 'জানি না (হাসি)। উনারা থাকে গ্রামে। অনেক দূরে থাকে। আসছে কষ্ট করে একটা ম্যাচ দেখতে। হয়তো দ্বিতীয় ম্যাচটা দেখবে, এরপর চলে যাবে।'
তবে এদিন হ্যাটট্রিক করবেন তা ভাবতেই পারেননি শরিফুল। এর আগে দুটি বলেই হজম করেছেন দুটি ছক্কা। শরিফুলের ভাষায়, 'দুটা ছক্কা খাওয়ার পর মনে করছিলাম কিভাবে রান চেক দেওয়া যায়। কারণ, হয়তো আরেকটা যদি ছয় খেতাম স্কোরটা বড় হয়ে যেত। আমার লক্ষ্যটা ছিল যেন আমি ডট বল করতে পারি।'
'চিন্তা ভাবনা হ্যাটট্রিক ছিল না, চিন্তা করেছি আমার হাতে তখনো বল আছে আরও তিনটা। আমি ভালোভাবে ফিরে আসতে পারব। হয়তোবা এখান থেকে একটা উইকেট নিতে পারব। কিন্তু হ্যাটট্রিকটা...'
Comments