১৫৫ রানে আটকা পাকিস্তান, ৩৮.১ ওভারে জিততে হবে বাংলাদেশকে
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পাশাপাশি নজর রাখতে হবে রান রেটেও। সে লক্ষ্যে শুরুটা দারুণ করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শেখ পারভেজ জীবন ও রহনত দৌলা বর্ষণের অসাধারণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই রেখেছে টাইগার যুবারা।
শনিবার বেনোনির উইলোমুর পার্কে সুপার সিক্সের ম্যাচে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১৫৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ৩৮.১ ওভারের মধ্যে এই রান তাড়া করতে জিততে পারলে সেমি-ফাইনালে খেলতে পারবে বাংলাদেশ।
মূলত অফস্পিনার জীবন ও পেসার বর্ষণের জাদুকরী বোলিংয়ে পাকিস্তানি যুবাদের মাত্র ৪০.৪ ওভারেই আটকে দেয় বাংলাদেশ। ১০ ওভার বল করে মাত্র ২৪ রান খরচ করে ৪টি উইকেট নেন জীবন। ২৪ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন বর্ষণও। তিনি বোলিং করেছেন ৮ ওভার।
তবে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল পাকিস্তান। দুই ওপেনার শ্যামল হোসেন ও শাহজিব খান গড়েন ৩৭ রানের জুটি। শ্যামলকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন বর্ষণ। দ্রুত আজান আওয়াইসকেও তুলে নেন তিনি। আর অধিনায়ক সাদ বাইগকে দারুণ এক থ্রোতে রানআউট করেন আরিফুল ইসলাম।
এক প্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার শাহজিবকে ছাঁটাই করেন জীবন। তাতে পাকিস্তানিদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। আহমেদ হাসানকে তুলে নিয়ে সে চাপ আরও বাড়ান বর্ষণ। এরপর জীবনের ঘূর্ণিতে হারুন আর্শাদ আউট হলে বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান।
তবে সপ্তম উইকেটে আলী আস্ফান্দকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন আরাফাত মিনহাজ। ৪৩ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। আস্ফান্দকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন জীবন। এরপর আর কোনো ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। ১৭ রানের ব্যবধানে শেষ তিন উইকেট হারালে কোনোমতে দেড়শ রান পার করে পাকিস্তান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন আরাফাত। ৪০ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। শাহজিব করেন ২৬ রান। এ দুই ব্যাটার ছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করেছেন কেবল আস্ফান্দ ও আহমদ হাসান।
Comments