রাসেলের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা
নকআউট পর্ব আগেই নিশ্চিত করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তারপরও রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করার। আন্দ্রে রাসেলের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে শীর্ষে থাকা রংপুরকে হারিয়েই কোয়ালিফায়ারের টিকিট কাটল কুমিল্লা। একই সঙ্গে প্রথম লড়াইয়ে হারের দারুণ প্রতিশোধও নিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৫ ওভারে ১৫০ রানে অলআউট হয়ে যায় রংপুর। জবাবে ১৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে কুমিল্লা।
এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট হলো লিটন দাসের দলে। দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। এখনও একটি ম্যাচ বাকি তাদের। ঢাকায় শুক্রবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে খেলবে তারা। সেই ম্যাচে বড় জয় পেলে রংপুরকে ছাপিয়ে শীর্ষে ওঠার সুযোগ রয়েছে তাদের। গ্রুপ পর্বের পুরো ১২টি ম্যাচ খেলে ১৮ পয়েন্ট শীর্ষে থাকা বরিশালের।
মাঝারী পুঁজি নিয়েও আন্দ্রে রাসেল নামার আগ পর্যন্ত ভালোই লড়াই করেছিল রংপুর। কিন্তু শেষ দিকে দানবীয় ব্যাটিংয়ে ম্যাচ এক তরফা করে দেন রাসেল। মাত্র ১২ বলে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৪৩ রানের ইনিংস। এর আগে বল হাতেও ২.৫ ওভার বল করে পান ৩টি উইকেট।
তবে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই ছিল কুমিল্লার। ৩৬ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন লিটন দাস ও সুনীল নারিন। তবে বল হাতে নিয়ে প্রথম বলেই নারিনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। একই ওভারে তাওহিদ হৃদয়কে ফিরিয়েও চাপ সৃষ্টি করেছিলেন এই অলরাউন্ডার।
তবে সেই চাপ ধরে রাখতে পারেনি রংপুর। তৃতীয় উইকেটে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক লিটন। এই জুটিও ভাঙেন সাকিব। লিটনকে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে বিদায় করেন তিনি। এরপর অঙ্কনকে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে ফিরিয়েছিলেন আবু হায়দার। কিন্তু এরপর মঈন আলী ও রাসেলের অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত হয় কুমিল্লার। রংপুরের পক্ষে চার ওভার বল করে ২০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান সাকিব।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুর। দলীয় ৩৯ রানেই প্রথম সারির চার উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ২৯ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন জেমস নিশাম। কিন্তু দলীয় ৬৮ রানে সাকিবকে ফিরিয়ে এ জুটি বড় হতে দেননি তরুণ পেসার মুশফিক হাসান।
স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ করতে আরও পাঁচটি উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে যায় রংপুর। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন নিশাম। দশম উইকেটে ইমরান তাহিরের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন এই অলরাউন্ডার। যা ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি। তবে এই জুটিতে তাহিরের অবদান মাত্র ৫ রান। আর এই জুটিতেই দেড়শ রানের পুঁজি পায় দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন নিশাম। ৪২ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৯টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন এই কিউই অলরাউন্ডার। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। এ দুই ব্যাটার ছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল রনি তালুকদার। ১৪ রান করেন তিনি।
অনুশীলনে মোস্তাফিজুর রহমান চোট পাওয়ায় সুযোগ পাওয়া মুশফিক হাসান এদিন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। চার ওভার বল করে ১৮ রানের খরচায় পেয়েছেন ৩টি উইকেট। ২০ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেলও। ম্যাথিউ ফোর্ড পান ২টি উইকেট।
Comments