'সাকিব-তামিম ভুয়া হলে আমাদের মাটির ভিতরে ঢুকে যাওয়া উচিত'

সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নামের দুইজন। দেশের ক্রিকেটের উত্থানে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু সেখানে এ দুই ক্রিকেটারকে প্রায় দুয়ো দিয়ে থাকে ভক্ত-সমর্থকরা। বিশেষ করে সাকিব ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ে আসলেই 'ভুয়া, ভুয়া' ধ্বনি উচ্চারিত হয় বেশিই। সমর্থকদের এমন আচরণে বিস্মিত বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরেক তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।

তবে এ দুই তারকার দ্বৈরথে নিজেদের কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছে বলে জানান এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ম্যাচ শেষ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'টু বি অনেস্ট এই রকম বড় ম্যাচে যদি এইভাবে কেউ লাইমলাইট নিয়ে থাকে না তাহলে সবচেয়ে রিলাক্স থাকা যায়। দুইজন দুইজনের যুদ্ধ করবে আমরা আমাদের মতো থাকবো। সত্যি কথা। দুইজনকেই আমি দেখেছি অনেক রিলাক্স ছিল এবং দুইজনই ছিল দুইজনের মতোই। দুইজনই জানে ওরা কতো বড় কন্ট্রিবিউটর তার পারসোনাল দলের জন্য।'

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলের ফাইনালের টিকিট কেটেছে ফরচুন বরিশাল। তবে গণমাধ্যম এবং সামাজিকমাধ্যম সব জায়গাতেই এই ম্যাচটি আলোচিত বেশি ছিল সাকিব-তামিমের লড়াই হিসেবেই। এ দুই তারকার দ্বৈরথেই দৃষ্টি ছিল সবার। সেখানে শেষ পর্যন্ত সাকিবকে হারিয়ে দিয়েছেন তামিম। তবে এ লড়াইয়ে যেই জয়ী হন না কেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে দুইজনকে কিংবদন্তি মনে করেন মুশফিক।

দুইজনকে দুয়ো দেওয়া তো দূরের কথা তাদের নিয়ে নেতিবাচক কথা বলাও অন্যায় মনে করেন তিনি, 'আমার মনে হয় না তাদের নিয়ে কিছু বলার আছে। দুইজনই দুইজনের দিক থেকে বাংলাদেশের লিজেন্ড ক্রিকেটার। তো তাদের নিয়ে ফাইট তো দূরের কথা, তাদের নিয়ে কথা বলাই অনৈতিক। তারা যতটুকু বাংলাদেশের জন্য দিয়েছে ইনশাল্লাহ আরও দিবে হুইচ ইজ আনপ্যারালাল। যারা কথা বলেন, যারা আসলে ইভেন এইযে ভুয়া ভুয়া করেন, এটা আসলে... সাকিব আর তামিম যদি ভুয়া হয় আমাদের তো মাটির ভিতরে ঢুকে যাওয়া উচিত। এজ সিম্পল এজ দ্যাট। তাদের মতো প্লেয়ার যদি ধরেন...'

উল্লেখ্য, এক সময় সাকিব ও তামিম দুইজনই দুইজনের খুব কাছে বন্ধুই ছিলেন। তবে সময়ের সঙ্গেসঙ্গে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। অবস্থা এমনই যে এখন মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। তবে দুই জনের মধ্যকার দ্বৈরথটা ভক্তদের মধ্যে বিস্তার করে ভারত বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের পরপরই। বিশ্বকাপের ঠিক আগে হুট করেই নিজেকে বাংলাদেশ দল থেকে সরিয়ে নেন তামিম। এরপর সামাজিকমাধ্যমে লাইভে এসে তার কারণ ব্যাখ্যা করেন। সেখানে উপর মহলের কাউকে দায়ী করেন তাকে ডিস্টার্ব করার জন্য। যে কারণে বাধ্য হন নিজেকে সরিয়ে নিতে। এরপর একটি টিভি চ্যানেলে এসে তামিমকে রীতিমতো ধুয়ে দেন সাকিব। 

Comments

The Daily Star  | English

Sheikh clan’s lust for duty-free cars

With an almost decimated opposition and farcical elections, a party nomination from the ruling Awami League was as good as a seat in the parliament.

7h ago