হেনরি-সিয়ার্সের তোপে জেতার আভাস পাচ্ছে নিউজিল্যান্ড  

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে চালকের আসনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ জিততে তাদের দরকার ৬ উইকেট আর অস্ট্রেলিয়ার চাই আরও ২০২ রান। 

চার ফিফটি এবং একটি চল্লিশ ছাড়ানো ইনিংসে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতা ঝেড়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেওয়ার পর ম্যাট হেনরি ও বেন সিয়ার্সের বোলিংয়ে জেতার আভাস তৈরি করেছে তারা। 

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে চালকের আসনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ জিততে তাদের দরকার ৬ উইকেট আর অস্ট্রেলিয়ার চাই আরও ২০২ রান। 

আগের দিনের ২ উইকেটে ১৩৪ নিয়ে খেলতে নেমে সম্মিলিত প্রয়াসে ৩৭২ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। অজিদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৯ রান। পেস বোলারদের জন্য সহায়ক উইকেটে এই রান তাড়া যে বেশ চ্যালেঞ্জের সেটা টের পাওয়া যায় পরে। ৩৪ রানেই অজিদের ৪ উইকেট ফেলে দেন দুই কিউই পেসার। 

২ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে নেমে বেশ ভালোই এগুতে থাকে কিউইরা। আগের দিনে ফিফটি করে অপরাজিত থাকা টম ল্যাথাম অবশ্য বেশি দূর এগুননি। ৭৩ করে কামিন্সের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন তিনি।

এরপর ড্যারেল মিচেল-রাচিন রবীন্দ্র জুটি যোগ করে মূল্যবান ১২৩ রান। দুজনেই করেন ফিফটি। মিচেল ৫৮ করে থামলেও সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে রবীন্দ্র আউট হন ৮২ করে। শেষ দিকে স্কট কুগলেহেইন ৪৯ বলে ৪৪ ও হেনরি ১১ বলে ১৬ করলে সাড়ে তিনশো ছাড়িয়ে বেশ বড় পুঁজি পেয়ে যায় স্বাগতিক দল। 

২৭৯ রানের লক্ষ্য ৮ম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। হেনরির বলে এলবিডব্লিউতে থামেন স্টিভেন স্মিথ। পরের ওভারে মারনাশ লাবুশানেকে কট এন্ড বোল্ড বানান সিয়ার্স। উসমান খাওয়াজা সময় নিয়ে থিতু হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন, পারেননি। তাকে বিদায় করে ম্যাচে নিজের নবম উইকেট পান হেনরি। খানিক পর ছন্দে থাকা ক্যামেরন গ্রিনের মূল্যবান উইকেট পেয়ে দলের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে তুলেন সিয়ার্স। 

শেষ বিকেলে ট্রেভিস হেড আর মিচেল মার্শ মিলে ৪৩ রানের জুটি গড়ে দিন পার করেছেন। চতুর্থ দিনের সকালের সেশনের পুরোটা এই জুটি পার করতে পারলে ম্যাচে ফিরবে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম টেস্ট হেরে সিরিজে পিছিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড নিশ্চিতভাবেই সেই কাজটা ভীষণ কঠিন করে তুলবে।  

 

Comments

The Daily Star  | English

Foreign investors returning to stock market

After a long time, foreign investors are showing renewed interest in buying shares of listed companies in Bangladesh as they hope good governance will return to the local stock market following the recent political changeover.

11h ago