জিম্বাবুয়ে সিরিজ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি না, দাবি পাপনের

Nazmul Hasan Papon

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবারও নেই জিম্বাবুয়ে। সেই দলটির বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। এরমধ্যেই প্রথম দুই ম্যাচে সহজেই জিতেছে টাইগাররা। তাতে প্রশ্ন উঠেছে অনেক। এমন দুর্বল দলের বিপক্ষে খেলে আদতে কতোটুকু হচ্ছে টাইগারদের প্রস্তুতি? কিন্তু এই সিরিজকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির কোনো সিরিজ না বলেও দাবি করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।

অথচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে আর এক মাসও বাকি নেই। অন্যান্য প্রায় সব দলগুলোই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজকে এফটিপির অংশ জানিয়ে পাপন বললেন, 'জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজটা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি না। এটা আমাদের এফটিপির খেলা। আমি কী এফটিপির খেলায় ওদেরকে পয়েন্ট দিয়ে দিবো? এটার সাথে এটার কোনো সম্পর্ক নাই। আর ইউএসএতে আমরা ইউএসএতে খেলাতে চাচ্ছি ওদের কন্ডিশন, উইকেট সবকিছুর সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করানোর জন্য।'

'আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন তাহলে আগেই আমাদের এটা (প্রস্তুতি) শেষ করা উচিত ছিল। আপনি যদি প্রিপারেশনের কথা বলেন, দুই সপ্তাহ আগে প্রিপারশনের কিছু নাই। যা করার তা আগেই শুরু করার কথা ছিল। আমি মনে করি, আমরা যে কয়টা সিরিজ খেলি, এই যে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পুরা সিরিজটা খেললাম, এইবারের বিপিএলটা জমজমাট হলো, ভালো খেলা হয়েছে। এটাতেই প্রিপারেশন হওয়ার কথা। এইবারে আমাদের টিমটার বড় বিষয় হলো অভিজ্ঞতা, মোটামুটি নতুন ভালো একটা কম্বিনেশন আছে। কাজেই ভালো আশা করা ছাড়া আর কিছুই করার নাই,' যোগ করেন পাপন।

প্রথম দুই ম্যাচে তেমন একটা লড়াই করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দুইবারই আগে ব্যাটিং করে কোনো মতে লড়াইয়ের পুঁজি দাঁড় করায় দলটি। যা সহজেই উতরে যায় টাইগাররা। তাতে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়েনি বাংলাদেশ। এছাড়া ব্যাটারদের সামর্থ্যও দেখা হয়নি। টস জিতলেও ম্যাচ জেতার জন্য ফিল্ডিংই বেছে নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে আইপিএলে এবার ব্যাটারদের দানবীয় ব্যাটিংয়ে অনেক শঙ্কাই ঘুরপাক খাচ্ছে।

সবমিলিয়ে এবার বিশ্বকাপে ভালো চ্যালেঞ্জ দেখছেন পাপন, 'এইবারের আইপিএল দেখে মানে কিছু বুঝতে পারছি না হচ্ছেটা কী। মানে ২৫০-৬০ করার করলেই জিততে পারে না। আর আমরা কী করছি আমরা ২৪০-৪৫ (১৪০-৪৫) করতেই হিমশিম খাচ্ছি বলে মনে হয়। আসলে হিমশিম খাই নাই। বাট মনে হয় কেমন জানি একটা… ওরা যেভাবে খেলছে এই খেলার সাথে একটা বিরাট গ্যাপ। এই গ্যাপটা কিন্তু গতবারও মনে হয় নাই। এক বছর আগেও এমন মনে হয়নি যতটা গ্যাপ মনে হচ্ছে। সো চ্যালেঞ্জেস আর দেয়ার।'

আর এই চ্যালেঞ্জটা নিতে ব্যাটারদের হাত খুলে খেলার বিকল্প দেখছেন না বিসিবি প্রধান, 'আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, লিটন দাস তাড়াতাড়ি ফর্মে ফিরে আসুক এটাই চাই আমরা। শুধু লিটন দাস না, সবাই তারা তাদের বেস্ট পারফরম্যান্সে থাকুক, খেলুক। সবচেয়ে বড় কথা হলো টি-টোয়েন্টি খেলতে হলে এখন সাহস করেই খেলতে হবে। এখন আর রান হলো কী হলো না, ফর্ম আছে কি নাই এসব চিন্তা করে লাভ নাই। এখন খেলতে হবে হাত খুলে। হাত খুলে না খেললে ইনিশিয়ালি বড় রান করাটা কঠিন।'

তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেখে কিছুটা ভয়ে আছেন তিনি, 'ব্যাটিংটা ভালো লাগে নাই। ব্যাটিং দেখে খুবই ভয় লাগছে। এইগুলো এখন কথা বলার বিষয়। আমি মনে করি যে, আমার যে ধারণা ছিল তার চেয়ে ভালো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে খেলাটা হচ্ছে সিরিজ দুটো ম্যাচ দেখেছি বোলিং কিন্তু ভালো করেছে। সাইফউদ্দিন এতোদিন পর এসে যেভাবে বল করেছে, শেখ মেহেদী যেভাবে বল করেছে, তাসকিন তো এক্কেবারে মনে হচ্ছে যে বিধ্বংসী মনে হয়েছে। আমাদের মোস্তাফিজ আইপিএলে খুব ভালো খেলে এসেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

22 sectors still pay wages below poverty line

At least 22 sectors in Bangladesh continue to pay their workers much less than what is needed to meet basic human needs.

5h ago