মাহমুদউল্লাহ-শান্তর ব্যাটে প্রতিরোধ বাংলাদেশের

ইনিংসের প্রথম ওভারে দারুণ একটি ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন সৌম্য সরকার। তাতে ভালো সূচনার আভাস। কিন্তু এরপর টানা দুই ওভারে মেইডেন উইকেট। ফিরে যান দুই ওপেনারই। পাওয়ার প্লেতে হারায় আরও এক উইকেট। তাতে শুরুতেই বড় চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। তবে সেই চাপ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে উতরে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ।
রোববার সকালে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৭০ রান তুলেছে টাইগাররা। শান্ত ২৯ ও মাহমুদউল্লাহ ৩০ রানে উইকেটে আছেন।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে পুল করতে গিয়ে টপএজ হয়ে আকাশে তুলে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম (২)। পরের ওভারে ব্রায়ান বেনেটের শর্ট ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে সৌম্যর ব্যাটের কানায় লেগে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ চলে যায় শন উইলিয়ামসের হাতে। ৭ বলে ৭ রান করেন সৌম্য।
ব্যর্থ হয়েছেন তাওহিদ হৃদয়ও। জিম্বাবুইয়ান স্পিনারদের বলে শুরু থেকেই সংগ্রাম করছিলেন এই ব্যাটার। বেনেটের অফ স্টাম্পের বাইরে রাখা বলে কাট করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে কট বিহাইন্ড হয়ে যান হৃদয়। ৬ বলে ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ১৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে যায় টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ নিয়ে দশম বারের মতো ১৫ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে আসে ৩ উইকেটে ৩৩ রান। যা চলতি সিরিজে প্রথম ছয় ওভারে সবচেয়ে কম রান।
হৃদয়ের বিদায়ের পর উইকেটে নেমেই জিম্বাবুয়ের উপর চড়াও হন মাহমুদউল্লাহ। বেনেটের সেই ওভারেই টানা তিনটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। অন্যদিকে খোলস ভাঙতে শুরু করেন শান্তও। দারুণ কিছু বাউন্ডারি আদায় করে নেন তিনিও। তাতে চাপ সামলে এগিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা। এরমধ্যেই ৫৫ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন আছেন তারা।
Comments