বিশ্বকাপ দলে কি তাসকিন থাকবেন?

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ বল করে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। তাকে ঘিরে বিশ্বকাপেও অনেক আশা বাংলাদেশের। তবে এই সিরিজ খেলতে গিয়েই সাইড স্ট্রেনের চোটে পড়েছেন ডানহাতি পেসার। শেষ পর্যন্ত তিনি বিশ্বকাপ দলে থাকবেন কিনা, এই প্রশ্ন এখন বড়।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর পর আজই বিশ্বকাপ দল ঘোষণার একটা ভাবনা ছিলো। তবে তাসকিনের চোটের খবর বদলে দেয় পরিস্থিতি। তাসকিনের চোটের হাল বুঝতে করা হয় এমআরআই স্ক্যান। সেই রিপোর্ট এখন নির্বাচকদের হাতে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করা হবে।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে তাসকিনের থাকা, না থাকার বিষয় খোলাসা করতে চাইছেন না নির্বাচকরা। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, চোট সারাতে কিছুটা সময় লাগবে তাসকিনের। বিশ্বকাপ থেকে একদম ছিটকে না পড়লেও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক সিরিজে তার খেলার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
এমনিতেও অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সেরা একাদশের সবাইকে খেলানোর চিন্তা নেই টিম ম্যানেজমেন্টের। বিশেষ করে পেসারদের বিশ্রাম দিয়ে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই সিরিজ খেলানো হবে। তাসকিন যেহেতু চোটে আছেন। তিনি পুরোপুরি বিশ্রামে থাকবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হিউস্টনে ২১, ২৩ ও ২৫ মে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আছে বাংলাদেশের। এরপরই শুরু বিশ্বকাপ মিশন। সাইড স্ট্রেনের সাধারণ চোটেও অন্তত ১০-১২ দিন বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। কাজেই তাসকিনের এমনিতেই এই সিরিজ খেলার কথা নয়।
যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ খেলতে না পারলেও বিশ্বকাপ সম্ভাবনায় এখনি ছিটকে যাচ্ছেন না বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পেসার। দলের সঙ্গেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে চালাবেন পুনর্বাসন। টুর্নামেন্টের আগে সুস্থ হয়ে উঠলে তো চিন্তা গেলই। কিন্তু কোন কারণে যদি মনে হয় তার সেরে উঠতে সময় লাগছে তাহলে যেকোনো সময় বিকল্প নেওয়ার সুযোগ আছে।
এমনিতে ২৫ মে পর্যন্ত কোন কারণ ছাড়াই স্কোয়াডে বদল আনা যাবে। তবে চোটে পড়া খেলোয়াড় বদল করা যায় টুর্নামেন্ট শুরুর পরও। তখন কেবল আইসিসির অনুমোদন নিতে হয়।
১৫ জনের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাই তাসকিনের থাকার সম্ভাবনাই বেশি। যদি প্রয়োজন হয় তখন তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে যেহেতু তাকে নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে, সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে হাসান মাহমুদকে রাখা হবে ট্রেভেলিং রিজার্ভ হিসেবে। মূল স্কোয়াডে অন্তত চারজন পেসার রাখার চিন্তা আছে দলের।
Comments