২০২৩ বিশ্বকাপের আক্ষেপ নেই, কোহলির হৃদয়ভঙ্গ হয়েছিল অন্য দুই হারে

Virat Kohli

২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অপরাজিত হয়ে খেলতে নেমেছিল ভারত। উড়ন্ত ভারতকে নিয়ে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন তখন বাসা বেঁধেছিল ভারতের সমর্থকদের মনে। কিন্তু রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের স্বপ্নভঙ্গ করে দেন অজিরা। সে পরাজয় এখনও তরতাজা ক্ষত হয়েই থাকবে ভারতীয়দের হৃদয়ে। তবে আহমেদাবাদের সেই ফাইনাল নিয়ে কোহলির আক্ষেপ নেই, এমনটাই বলেছেন ভারতীয় কিংবদন্তি। বরং জীবনে অন্য আরও দুটি ঘটনায় তার হৃদয়ভঙ্গ হয়েছিল, দুটিই ২০১৬ সালের ঘটনা।

জিও সিনেমাতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেছেন, 'একটি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমি এমন অবস্থায় ছিলাম, মনে হচ্ছিল যাই হোক না কেন, আমি এটা করতে পারব। কিন্তু ওই নো বলগুলো এবং এসব-ওসব, এটা পেছন ফেলে এগিয়ে যেতে আমার অনেক সময় লেগেছে। পরের দিন আমি আক্ষরিক অর্থেই বিধ্বস্ত ছিলাম এবং আমার ঘর থেকে বের হতে পারছিলাম না। আমার জন্য বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছিল সময়টা।'

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তারা পেয়েছিল ৭ উইকেটের হার। মুম্বাইয়ে সেদিন ভারত ১৯২ রানের পুঁজি গড়তে পেরেছিল কোহলির ৪৭ বলে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংসে ভর করে। জীবনের সেরা একটা বছর আসলে ওই সময় পার করছিলেন তিনি। ফর্মের তুঙ্গে ছিলেন বলেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের আক্ষেপ বেড়েছিল তার। ওই বছর আইপিএলেও অসাধারণ ফর্মে ছিলেন ভারতের এই কিংবদন্তি। ৯৭৩ রান করে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন। কিন্তু সেবারও আইপিএলের শিরোপাটা তুলতে পারেননি হাতে।

ফাইনালে ভালো অবস্থানে থেকেও কীভাবে হারলেন, এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় কোহলির। ডানহাতি এই ব্যাটার হৃদয়ভঙ্গের কথা শোনাতে গিয়ে বলেছেন, 'তারপর আমরা যখন বেঙ্গালুরুতে আইপিএল ফাইনাল হারলাম। আমার মনে হচ্ছিল, এটা লেখাই ছিল (শিরোপা আমাদের)- যে অবস্থানে ছিলাম এবং তারপর ফাইনালে এলাম। আমরা ২০০ এর মতো তাড়া করছিলাম (২০৯), এবং নয় ওভারেই আমাদের রান ১০০ এর মতো হয়ে গিয়েছিল বিনা উইকেটে। যখন এবি (ডি ভিলিয়ার্স) আউট হলেন, আমাদের প্রয়োজন ছিল ৬৮ (আদতে ৭১) রান ৪২ বলে, সঙ্গে আট উইকেট বাকি ছিল হাতে। আপনি যদি ফিরে তাকান, মনে হয়, কীভাবে আপনি সেই খেলাটায় হেরে যেতে পারেন?'

২০১৬ সালের আইপিএলে প্রথম ৭ ম্যাচে মাত্র দুই জয় ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। প্লেঅফে তাদের জায়গা না পাওয়ার আশঙ্কাই ছিল তখন। সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ সাত ম্যাচের ছয়টিতেই জয় পায় তারা। দ্বিতীয় স্থানে থেকেই প্লেঅফে যায়। প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতেই ফাইনালে পা রাখলেও শেষমেশ শিরোপা থেকে দূরে রাখে তাদের ৮ রানের ব্যবধান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দেওয়া ২০৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বেঙ্গালুরু যেতে পারে ২০০ রান পর্যন্ত।

এবারও আইপিএলে প্রথম আট ম্যাচের সাতটা হেরে বসে কোহলির বেঙ্গালুরু। পরের ছয় ম্যাচ টানা জিতে শ্রেয়তর রানরেটে চেন্নাই সুপার কিংসকে পেছনে ফেলে নিশ্চিত করেছে প্লে অফ। বাকি চিত্রনাট্যে কোহলির জন্য কি অপেক্ষা করছে দেখার বিষয়।

-রিবিজা

Comments

The Daily Star  | English

Yunus in Rome to attend Pope Francis' funeral

The chief adviser is visiting the Vatican to attend Pope Francis' funeral

3h ago