সাকিবকে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছি: ক্রীড়া উপদেষ্টা

দেশের মাটিতে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলতে রওনা দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু দুবাইয়ে আসার পর সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয় তাকে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তাকে দেশে ফিরতে মানা করা হয়। মূলত 'অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে' সাকিবকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আসিফ বলেন, 'আমি সাকিবকে (বাংলাদেশে) না আসার পরামর্শ দিয়েছি, কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'

এর আগে ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে ফিরে আসার সম্ভাবনা কম জানিয়ে ইএসপিএনক্রিকইনফোকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাকিব বলেন, 'আমি নিশ্চিত নই যে আমি পরবর্তীতে কোথায় যাচ্ছি, তবে এটা প্রায় নিশ্চিত যে আমি দেশে যাচ্ছি না।'

এছাড়া  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকমকে সাকিব বলেন, 'আমি দেশে ফিরতে চাইছিলাম... কিন্তু এখন মনে হয় না পারব। এটি একটি নিরাপত্তা সমস্যা, আমার নিজের নিরাপত্তার বিষয়।'

দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই সাকিবের দেশে ফেরার বিষয়ে ছিল নানা অনিশ্চয়তা। হত্যা মামলায় আসামী করা হয় তাকে। এরমধ্যেই ভারত সফরে কানপুর টেস্টের আগে সাকিব জানান, মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই সাদা পোশাকে শেষ ম্যাচটা খেলতে চান। যে কারণে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন সাকিব।

সাকিবের ফেরার নিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার কাছ থেকে শুরুতে কঠিন বার্তা পেলেও পরে নমনীয় হন তারা। এমনকি আগের দিন সাকিবকে নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু হঠাৎ করেই সব যায় পাল্টে।

এর আগে সাকিবকে রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করার আহবান জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা। তার ভিত্তিতে সামাজিকমাধ্যমে এক বিবৃতিও দিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। ধারণা করা হয় তাতেই কিছুটা নমনীয় হয় পরিবেশ। তখন নিরাপদে দেশে ফেরা ও পরে নির্বিঘ্নে দেশ ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছিলেন আসিফ মাহমুদ।

এদিকে সাকিবের আগমনের খবরে বুধবার বিক্ষোভ শুরু হয়। 'মিরপুর ছাত্র জনতা'-এর ব্যানারে একদল বিক্ষোভকারীও বৃহস্পতিবার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জড়ো হয় এবং বিসিবিকে জানায় যে তারা ম্যাচে সাকিবের উপস্থিতির প্রতিবাদ করবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলের একজন সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব।

Comments

The Daily Star  | English

Gridline woes delay Rooppur Power Plant launch

The issue was highlighted during an International Atomic Energy Agency (IAEA) inspection in March

7h ago